বুধবার ০১ মে ২০২৪ বৈশাখ ১৮ ১৪৩১ ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। শিবগঞ্জ মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে কোন মুখোমুখী যুদ্ধ করতে হয়নি। শিবগঞ্জ থানা সদর মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল যখন শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন ১১ ডিসেম্বর রাতেই তাদের কাছে স্থানীয় মানুষজন খবর দেন, রাজাকার-আলবদর ও থানার পুলিশকে ফেলে রেখে পাকসেনারা এ দিন রাতেই শিবগঞ্জ ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দিকে পালিয়ে গেছে।
এ খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ১১ ডিসেম্বর বেলা ২টা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দল একের পর এক শিবগঞ্জ সদরে ঢুকে পড়ে। পুরোপুরিভাবে মুক্ত হয় শিবগঞ্জ থানা। প্লাটুন কমান্ডার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল প্রথমে থানায় ঢুকে ও অবাঙালি পুলিশকে আত্মসমর্পণ করিয়ে থানা হাজতে আটকে রাখে। এ থানার অস্ত্র দখলে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। নজরুল ইসলাম বলেন, এসময় স্কুল শিক্ষক জাকারিয়ার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের একটি দল ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে আসে। জাকারিয়া মাস্টার বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত একটি জাতীয় পতাকা আমার হাতে তুলে দেন। আমি থানায় প্রথম মুক্ত শিবগঞ্জে পতাকা উড়ায়।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বজলুর রশিদ সনু। ওই সময়ের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ১১ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ মুক্ত হওয়ার দিনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, শিবগঞ্জ মুক্ত হওয়ার সময়টিতে ব্যাপক মানুষের ঢল না নামলেও অনেক মানুষ সেদিন সড়কের দু’ধারে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানায়। সাধারণ মানুষের মনে তখনও ভয়ভীতি কাজ করছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের এ বিজয় স্থায়ী হবে কিনা এ নিয়ে তাদের মনে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ কাজ করছিল।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়