সোমবার ১৩ মে ২০২৪ বৈশাখ ২৯ ১৪৩১ ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৪
নাদিম ওরফে আলিম। একজন বাংলাদেশী শ্রমিক। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের মাঝপাড়া। কাজের সুবাদে থাকতেন ওমানে। চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু কাজ করার সময় চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল সেখানেই মাটি চাপা পড়ে নিহত হন এই রেমিটেন্স যোদ্ধা।
কথা হচ্ছিলো নিহত নাদিমের বড় ভাই মাসুম আলীর সাথে। তিনি জানান, আমরা দুই ভাই ওমানের রিসিলে শ্রমিকের কাজ করি। আমি মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বাড়ি এসেছি। কিন্তু বাড়ি এসেই ছোট ভাইকে চিরতরে হারালাম। কাজ করার সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে সে নিহত হয়েছে। এ শোক সইবার নয়।
নাদিমের পিতা মো. আশরাফুল হক ফুকা বলেন, আমার দুই ছেলে ওমানে কাজের জন্য গেছিলো। আমার দুই ছেলেই কঠোর পরিশ্রমি। তাদের চোখে ভবিষ্যৎ সুন্দর করার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু নাদিমের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো। তার আড়াই বছরের একটা মেয়ে ও স্ত্রী আছে। তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো সে নিজেই। সে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো। এখন কি হবে তার পরিবারের।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. আতাউল হক কমল বলেন, ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। নাদিমের মৃত্যুতে তার পরিবারের পাশাপাশি আমরা এলাকাবাসীও শোকাহত। সে বিদেশে গিয়েছিল কাজ করতে। সে একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তার পরিবার হারালো নাদিমকে কিন্তু দেশ হারালো একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তার পরিবারকে সকল ধরনের সহোযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ^স্ত করেন।
প্রসঙ্গত: চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল ওমানের রিসিলে মাটি চাপায় নিহত হন নাদিম। নিহতের প্রায় এক সপ্তাহ পর বাংলদেশে তার নিজ বাড়িতে আসে মৃতদেহ।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়