চাঁপাইয়ে বাড়ছে আমবাগান, গত মৌসুমে উৎপাদন ৪৪৩২২৫ মে. টন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবছর বৃদ্ধি হচ্ছে আমবাগান। গত ১৬টি অর্থবছরে আমগাছের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমগাছের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০টি থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮টি।
জানা গেছে, ধান বা অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকদের পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবকরাও ঝুঁকে পড়ছেন আমচাষে। কেউ নিজের তো কেউ অন্যের জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমচাষ করছেন। এর ফলে প্রতিবছরই সম্প্রসারিত হচ্ছে আমবাগান।
সেই সঙ্গে আমচাষের পুরনো ধরনও পাল্টে গেছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমচাষ হবার ফলে দেশী জাতের গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত. ল্যাংড়া, ফজলিসহ অন্য আমের পাশাপাশি বিদেশী জাতের কাটিমন, গৌড়মতি, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গা, ব্যানানা, ডকমাই, মিয়াজাকি, বারি-৪ আমচাষও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বিদেশী জাতের আমগুলোর বেশির ভাগই নাবী জাতের হওয়ায় অসময়ে দামও বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে আম্রপালি। এইসব আম ঠা ঠা বরেন্দ্র ভূমিতেও হচ্ছে। আর তাই বরেন্দ্র অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠছে আমবাগান। রফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, ইসমাইল খান শামীম, আহসান হাবীব, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি, বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগসহ নতুন নতুন উদ্যোক্তা এইসব আমচাষ করছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দেশে বাজারজাত করার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করছেন। ধান বা অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে আমচাষে লাভ বেশি হওয়ায় তারা আমচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
নাবী জাতের আমচাষি রফিকুল ইসলাম বলেনÑ আমাদের দেশী আমগুলো মৌসুমেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু গৌড়মতি, কাটিমন, ব্যানানা, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গা আম অনেক দেরিতে পাকে। ফলে দামও বেশি পাওয়া যায়। একারণে আমচাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর সবেচেয়ে বড় কথা, আম হচ্ছে আমাদের জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল। তিনি জানান, তাদের প্রায় ৬৫০ বিঘার আমবাগান রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেনÑ আম এই জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল। এখন আমচাষের পুরাতন ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখন আমচাষ হচ্ছে। ফলে আমবাগান সম্প্রসারণ হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের হিসাবমতে, গত ১৬ বছরে আমবাগানের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সেই সঙ্গে উৎপাদনও বেড়েছে এবং বেড়েছে আমগাছের সংখ্যাও।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৯০০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৬ লাখ ৫ হাজার ৬০০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজারটি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন।
২০১০-১১ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৭০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৪০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ২৮০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন।
২০১২-১৩ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ২৫০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ২৬০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৭ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। ১০১৫-১৬ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৪৭০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ১৯ লাখ ৬১ হাজার ২৫০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৫১০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ২২ লাখ ১৩ হাজার ২৫০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৮২০ হেক্টর, আমগাছ ছিল ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর, আমগাছ ছিল ২৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬২৫টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৫ মেট্রিক টন।
২০২০-২১ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টর, আমগাছ ছিল ২৬ লাখ ৫ হাজার ৩৫০টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর, আমগাছ ছিল ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৬ মেট্রিক টন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমবাগানের জমির পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ৫৮৮ হেক্টর, আমগাছ ছিল ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮টি। ওই বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ৪৩ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন।
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সোহেল বাঁচতে চায়
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন শতাধিক ছাতা ও পানির বোতল বিতরণ
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- ভোলাহাটে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশুদ্ধ পানির পাম্প স্থাপন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলীর ইন্তেকাল
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪২.৯ ডিগ্রিতে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ আটক ১
- ভোলাহাটে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা
- শিবগঞ্জে সাড়ে ১৪ হাজার কৃষক পেলেন সার-বীজ
- শিবগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে কমিটি
- বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় চীন
- বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা
- ওমানে মাটি চাপায় শেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাদিমের দিন বদলের স্বপ্ন
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে:
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ আদায়
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- শিবগঞ্জে আগুনে পুড়ল আঁখ মিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল:
- শিবগঞ্জে ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের:
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব অনুমোদন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪২.৯ ডিগ্রিতে
- রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না
- রহনপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গভীর নলকূপে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি’র ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০০ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেল বনলতা এক্সপ্রেস
- বন্ধ হচ্ছে আমনুরা বাইপাস রেল স্টেশন
- গম্ভীরা শিল্পী “ওস্তাদ শেখ সফিউর রহমান”
- পছন্দের তালিকায় কদর বাড়ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালাই রুটির
- ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া হবে
- বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী হয়ে পড়েছে
- গ্রাহকদের অর্ধশত কোটি টাকা নিয়ে উধাও
- চাঁপাইয়ে বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রা
- শিক্ষাখাতে উন্নয়নের রোল মডেল
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদ চাষে ব্যস্ত চাষিরা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকৌশলী কামরুজ্জামান আর নেই
- চাঁপাইয়ে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গণনা শুরু ১০ জানুয়ারি থেকে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে অটোকে স্টীকার মেরে সপ্তাহে তিনদিন চালানোর উদ্যোগ
- বুলবুলের কল রেকর্ড ফাঁস, ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে নাশকতার পরিকল্পনা