শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২১
দেশের সীমান্তঘেষা জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে পাগলা নদী। জেলার প্রায় সব স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এর স্বাদ পাননি শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৭০ গ্রামের মানুষ। পাগলা নদী পার হতে এ এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ভরসা একটি মাত্র নৌকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উমরপুর-কয়লাদিয়াড় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পাগলা নদী। এ নদী পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বাঁশের একটি সাঁকো। কিন্তু এবার বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে সাঁকোটি। ফলে চরম দুর্ভেগে পড়েন এলাকাবাসী। তাই প্রতিদিন একটি মাত্র নৌকা দিয়ে নদী পার হয় অসংখ্য মোটরসাইকেল, সাইকেল আর মানুষ।
স্থানীয় আব্দুর রহমান জানান, উমরপুর ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। একটা বাঁশের সাঁকো ছিল সেটিও ভারি বৃষ্টিতে ২০ দিন আগে ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রায় ৭০ গ্রামের মানুষের চলাচলের ভরসা এখন একটি মাত্র নৌকা। নৌকা একটি হওয়ায় ঘাটে এসে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়।
নৌকায় পার হচ্ছিলেন আরমানী বেগম। তিনি বলেন, বাড়ি শাহবাজপুর কিন্তু মেয়ের বিয়ে দিয়েছি শ্যামপুরে। মেয়ের বাড়ি যেতে হলে নদী পার হতে হয়। অনেক সময় দেখি নৌকায় ওঠার জন্য ঘাটে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছে। সবসময় মানুষের চলাচল লেগেই থাকে। এতে আমরা সময় মত পার হতে পারি না।
হাসান আলি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এ এলাকায় কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে এই নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রাত বেশি হলে নৌকাও পাওয়া যায় না। নদীতে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম জানান, সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কাজ হয়নি। একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে ৭০ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমতো।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ জানান, এরই মধ্যে নদীর দু’পাড়ের মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়