চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাঠিচার্জে ১১ নারী আহতের ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান কাটার মেশিন দেখতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে ১১ নারী আহতের ঘটনায় গোমস্তাপুর থানার ওসি রইস উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) আজিম আলীকে প্রত্যাহার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে ১ মে সকালে কায়েমপুর ইউনিয়নের জগদিসপুর মৌজায়। স্থানীয়দের দাবি, অত্যাধুনিক মেশিনে ধান কাটার খবর পেয়ে অনেক নারী মাঠে যান তা দেখতে। তখন কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আহত নারীদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী বইফুল বেগম জানান, “ধান কাটার যন্ত্র দেখতে গিয়েছিলাম। অর্ধেক পথ যাওয়ার পর পুলিশ গুলি ও লাঠিচার্জ করে। পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে চার দিন হাসপাতালে ছিলাম।”

অন্যজন সুফিয়া বেগম বলেন, “ধান কাটার ঝামেলার কিছু জানতাম না। হঠাৎ ৬০-৭০ জন পুলিশ এসে হামলা চালায়। বন্দুকের বাঁট দিয়েও মারধর করা হয়।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ শুধু লাঠিচার্জই নয়, রাবার বুলেটও ছোড়ে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোমস্তাপুর থানার তৎকালীন এসআই আজিম আলী, তাঁর সঙ্গে ছিলেন এসআই আতিক ও এএসআই জুয়েল রানা। সবই ঘটেছে ওসি রইস উদ্দিনের উপস্থিতিতে।

তবে ওসি রইস উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে আদালতের রায় অনুযায়ী এক পক্ষ ধান কাটছিল। সরকারি কাজে বাধা দিলে কয়েকজন নারীকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল মাত্র, কাউকে মারধর করা হয়নি।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, “পুরুষ পুলিশের নারী লাঠিচার্জের কোনো তথ্য নেই। তবে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল এবং একাধিক মামলা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এসআই আজিম আলীকে এর আগেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। ওসি রইস উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাজশাহী রিজার্ভ ফোর্সে যোগ দিতে বলা হয়েছে।