মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হলে আসামিকে কনডেম সেলে নয়
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৪
![](https://www.chapainawabgonj.com/media/imgAll/2018November/---আপন-দেশ-2405130912-2405140704.jpg)
সব ধরনের বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিকে কনডেম সেল বা নির্জন কারাকক্ষে রাখা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ পর্যবেক্ষণসহ এ রায় দেন। কনডেম সেলের বন্দিদের দুই বছরের মধ্যে সাধারণ সেলে স্থানান্তর করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দিদের সঙ্গে অন্য বন্দিদের মতোই আচরণ করা উচিত।
ব্যতিক্রম পরিস্থিতি যেমন—ছোঁয়াচে রোগ বা সমকামিতা থাকলে বিশেষ বিবেচনায় যেকোনো বন্দিকে বিচ্ছিন্ন কক্ষে রাখা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দণ্ডিত ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দিদের অন্য বন্দিদের মতো জামিন আবেদনের অনুমতি দেওয়া উচিত। উপযুক্ত ক্ষেত্রে হাইকোর্টের উচিত ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে আবেদনকারীকে জামিন দেওয়া।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তাঁরা হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাঁদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) হাইকোর্টে বিচারাধীন।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে সে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন লাগে।
তা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের আসামিরা প্রথমে হাইকোর্টে, পরে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারেন। সর্বোচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে তার পুনর্বিবেচনা চেয়েও আবেদন করতে পারেন দণ্ডিতরা। সেটি খারিজ হলে শেষ চেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করার বিধান আছে। রাষ্ট্রপতি সে আবেদন নাকচ করলেই কেবল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা পায়। কিন্তু বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পরই দণ্ডিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে।
আবেদনের ২০ দিন পর রিটটির শুনানি হয়। তখন রাষ্ট্রপক্ষের অনুরোধে আদালত রুল জারি না করে কনডেম সেল ও কনডেম সেলে বন্দিদের সংখ্যা, কারাগারের সংস্কার, ব্যবস্থাপনা, কনডেম সেলের সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন দায়িত্ব নেন কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার। এরপর হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ ভেঙে গেলে ২০২২ সালে রিটটি হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে তোলা হয়। শুনানির পর ওই বেঞ্চ ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুলসহ আদেশ দেন।
রায়ের পর রিটের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, ‘নতুন জেলকোড ও কারা আইন করছে সরকার। হাইকোর্ট বলছেন, রায়ের পর্যবেক্ষণ যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়, সে বিবেচনা করতে। এ ছাড়া মৃত্যদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দিদের বিষয়ে তথ্য চাইলে (সাংবাদিক, গবেষক) তথ্য অধিকার আইন অনুসারে তথ্য দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
এ ছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুসারে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) সংক্রান্ত যাবতীয় বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করে তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
শিশির মনির আরো বলেন, পর্যবেক্ষণে আদালত নির্দিষ্টভাবে সাগর-রুনির ঘটনা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রায় ১২ বছর ধরে তদন্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি। বিচার তো আরো পরের ধাপ। আদালত বলেছেন, ‘আমাদের দেশে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হতে ৫ থেকে ১০ বছর লেগে যায়। এই ধরনের বিলম্ব যেখানে হয়, সেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে নির্জন কারাকক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বন্দি রাখাটা ডাবল শাস্তি। নির্জন কারাকক্ষে বসবাস তাঁর সাজা নয়, সাজা মৃত্যুদণ্ড।’
ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এসংক্রান্ত রায় দিয়েছেন। ওই রায় এ রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা রাখে বলে জানান আইনজীবী শিশির মনির।
![চাঁপাইনবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ](https://www.chapainawabgonj.com/media/PhotoGallery/2018November/Advt360x280-1811270723-1811281130.jpg)
- রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বঘোষিত সমন্বয়ক সালাউদ্দিন
- আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে রাবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- ঢাকাসহ ৪ জেলায় ফের কারফিউ বহাল
- ৯ দিন ধরে বন্ধ, ট্রেন চালুর বিষয়ে যা জানালেন রেলমন্ত্রী
- এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে কবে জানালেন মন্ত্রী
- ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি
- শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি: প্রধানমন্ত্রী
- বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি:
- বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতে মানুষ নিহত হয়েছে :
- ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- ঢাকায় বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঢাকার নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
- মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে: পলক
- শাটডাউনে চলবে মেট্রোরেল, বাস চালানোর নির্দেশনা
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- আদালতের রায় আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান
- কোটার রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল রাষ্ট্রপক্ষের
- মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে
- ফেসবুকে কর্মসূচি ঘোষণা, আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা
- হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ নামের কোন কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
- পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬%
- প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা
- টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল
- সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন
- ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়
- আজ পবিত্র আশুরা
- আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না
- যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ভিত্তিহীন,উসকানিমূলক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ঢাকাসহ ৪ জেলায় ফের কারফিউ বহাল
- বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি:
- ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি
- এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে কবে জানালেন মন্ত্রী
- ৯ দিন ধরে বন্ধ, ট্রেন চালুর বিষয়ে যা জানালেন রেলমন্ত্রী
- শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি: প্রধানমন্ত্রী
- আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে রাবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বঘোষিত সমন্বয়ক সালাউদ্দিন
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ