বলসুন্দরী বরইয়ে আশা দেখছেন বদরুল

নতুন জাতের বরই বলসুন্দরী। এই জাতের বাগান করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন বদরুল ইসলাম। 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নিতাইশা এলাকায় ৬ বিঘা জমিতে বলসুন্দরী জাতের বরই বাগান করেছেন বদরুল। বাগানের বয়স এক বছর পেরিয়ে যেতেই গাছে ফুল এসেছে। ছোট ছোট গুটিতে ভরে উঠেছে প্রতিটি গাছ। ফুল আর গুটির ভারে নুয়ে পড়ছে গাছগুলো। বদরুল ইসলাম অপেক্ষার প্রহর গুণছেন বরই বিক্রি করার জন্য। 

বাগানে প্রায় এক হাজার গাছ রয়েছে বলে জানান বদরুল। বাগান করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। বাগান পরিচর্যা করেন সরেন। তিনি বলেন, বাগান তৈরির শুরু থেকে আমি আছি। গাছের যত্ন নেই এবং রাতেও বাগানে থাকি। 

বদরুল বলেন, গাছ লাগানো আমার নেশা। আর নেশা থেকেই একে আমি পেশা হিসেবে নিয়েছি। বাগানে ড্রাগন, মাল্টা এবং পেঁপে গাছ আছে। অনেক আশা এবং স্বপ্ন নিয়ে বলসুন্দরী বরই বাগান করেছি। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত ফুল এবং গুটি এসেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বরই বাজারজাত করবো। আশা করছি ফলন ভালো হলে এই সিজনে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো। 

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার এখলাছ উদ্দিন সরকার বলেন, উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে। ৭টি বরই বাগান আছে। বদরুল ইসলাম আমাদের পরামর্শ নিয়ে উন্নত জাতের বলসুন্দরী বরই বাগান করেছেন। বাগানে প্রচুর পরিমাণে ফুল ধরেছে। বাগানটি দেখে অনেকেই বাগান তৈরির জন্য আমাদের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। আশাকরি বাগান মালিক কাঙ্খিত ফল পাবেন।