ব্রেকিং:
ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ এসিল্যান্ড আঞ্জুমানের বিরুদ্ধে ঈদুল আজহার ছুটিতে শিবগঞ্জে এক সপ্তাহে ৩ খুন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাঠিচার্জে ১১ নারী আহতের ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২.৫ কিলোমিটার সড়কে খোয়া বিছিয়েই লাপাত্তা ঠিকাদার তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮

মঙ্গলবার   ২৪ জুন ২০২৫   আষাঢ় ৯ ১৪৩২   ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

সর্বশেষ:
ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির অভিযোগ এসিল্যান্ড আঞ্জুমানের বিরুদ্ধে ঈদুল আজহার ছুটিতে শিবগঞ্জে এক সপ্তাহে ৩ খুন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্প-পাকিস্তান সেনাপ্রধানের বৈঠক চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাঠিচার্জে ১১ নারী আহতের ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২.৫ কিলোমিটার সড়কে খোয়া বিছিয়েই লাপাত্তা ঠিকাদার তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮
৩৭০

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৪ কেজির‘মণে’ জিম্মি আমচাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫  

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে তুলনামূলক ফলন ভাল হয়েছে। বিগত দিনে লোকসানের কারনে এবার ভাল দামের আশায় বুক বেধেছিল ব্যবসায়ীরা। তবে আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা।
দেশের সবচেয়ে বড় আমবাজার কানসাট, রহনপুর ও ভোলাহাট ঘুরে দেখা যায়, আমচাষিদের জিম্মি করে ৫২ থেকে ৫৪ কেজিতে এক মণ হিসাবে বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের। আর বাড়তি কেজিতে আম বিক্রি না করলে চাষিদের কাছ থেকে কেনাও বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর এক মণ আমে ১২ থেকে ১৪ কেজি বেশি নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

আমচাষিদের দাবি, বাজারে এক মণ আম ৪২ কেজিতেই বেচাকেনা করতে হবে।  এনিয়ে কয়েক বছর ধরে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে একাধীকবার অভিযোগ করা হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
 
এদিকে, আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে অতিরিক্ত ওজনে আম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। এতে আম চাষ করে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর কয়েক বছর ধরে চলা এ অনিয়ম দেখার যেন কেউ নেই। প্রশাসন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না চাষিরা।
 
কানসাটের আমচাষি আব্দুল মবিন বলেন,গত কয়েক বছর ধরে আমের মণের ওজনের পরিমাণ বাড়ছে। ৪৪ কেজি থেকে শুরু হয়ে এখন ৫৪ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। এক প্রকার জোর করেই ৫৪ কেজিতে মণ হিসাবে আড়তদাররা আম কিনছেন। বেশি ওজনে আম বিক্রি করতে না চাইলে পুরো সিন্ডিকেট কেনা বন্ধ করে দেয়। আর আম যেহেতু পচনশীল, তাই ভয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
 
আমচাষিরা বলছেন, আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনো সমাধান পাইনি। শুধু আশ্বাসেই আটকে আছে। এর সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এ বিষয়টি এখনই সমাধান না হলে, দিনদিন এ অত্যাচার বাড়তে থাকবে। অতিরিক্ত আম নেয়াটা কৃষকদের ওপর জুলুম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
কানসাট বাজারের আরেক আম বিক্রেতা শহিদুল হক বলেন, গত চার বছর আগে আমরা ৪২ থেকে ৪৩ কেজিতে মণ ধরে বিক্রি করেছি। কিন্তু ২০২২ সালে ৪৮ কেজিতে মণ ধরে আম কেনেন আড়তদাররা। সেই থেকে বছর বছর ওজন বাড়ছে। চলতি বছর ৫২ থেকে ৫৪ কেজিতে মণ ধরে আম কিনছেন। আমরা এখন বিপাকে পড়েছি। কোথায় যাবো, আর কার কাছে বলব এ অনিয়মের কথা?
 

কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা জানান, শুধু কানসাট নয়, রাজশাহী, নওগাঁ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট সব খানেই বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আমরা চাই, রাজশাহী বিভাগের সব আম বাজারে মণে একরকম ওজন নির্ধারণ হোক। এটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগেও বৈঠকে বসেছিলাম।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব আহসান হাবিব বলেন,আমরা কষ্ট করে আম উৎপাদন করি। কিন্তু আড়তদাররা মণে ১২ থেকে ১৪ কেজি আম বেশি নিচ্ছেন। এ অনিয়ম কয়েক বছর আগে থেকেই চলছে। আমরা এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে মুক্তি চাই।
 
তিনি আরও বলেন,মণপ্রতি ১২ থেকে ১৪ কেজি বেশি ধরে যে অতিরিক্ত আম নেয়া হয়, তার বাজারমূল্য অন্তত ৫০০ কোটি টাকা।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সামাদ বলেন,‘কানসাট আম বাজারে ওজন নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যামাত্র ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
এই বিভাগের আরো খবর