সোমবার ০৬ মে ২০২৪ বৈশাখ ২৩ ১৪৩১ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াত প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব কাজী জালাল উদ্দিনের আম বাগানে একটি প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। মসজিদটির অবস্থাও আজ বিসন্ন। মসজিদটির ছাদ ধ্বসে পড়লেও এর দেওয়াল ও মেহরাবগুলো ওটুট রয়েছে। চুন-সুরকী আর গৌড়িয়া ইটের সাহায্যে তৈরী এই মসজিদটির গায়ে রয়েছে বিচিত্র নক্সা আর কারুকার্য্য। মসজিদটি ১২২১ হিজরী সালে প্রতিষ্ঠিত খোদিত কালো পাথরে এর সাল স্পষ্ট অক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও মসজিদের আশেপাশে বিভিন্ন স্থান বহু পূর্বের বসতীর আলামত পাওয়া যায়। জানা যায়, এক সময় ঐ স্থানে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে লোকালয় ছিলো। এক ভয়াবহ মহামারীর কারণে লোকজন অন্ন্যত্র চলে যায়। কাজী জালাল সাহেবের বাগানের ঐ মসজিদটি এবং মন্দিরগুলির রক্ষনাবেক্ষণ করা উচিৎ। নচেৎ অবহেলা আর অযত্নে এই পুরাকীর্তি গুলি হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের অস্থিত্বের ইতি টানবে এবং ধ্বংসস্তূপে পরিনত হবে। এছাড়া এ উপজেলার যাদুনগর, গোপিনাথপুর ও বজরাটেক এলাকায় আরো তিনটি অতি প্রাচীন মসজিদ দেখা যায়। যা বর্তমানে কিছুটা হলেও তার পূর্বের দৃশ্য পাল্টে এলাকাবাসী পরিবর্তন এনেছে। মসজিদগুলি একই গঠন প্রকৃতির। তবে মসজিদগুলি কত সালে নির্মিত তা ঐতিহাসিক কোন দলিল-পত্র না থাকায় তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তবে এক কথায় বলা যায় মসজিদ তিনটির সু-প্রসস্থ ভিত ও গঠন শৈলী গৌড়ের বাদশাহের আমলের মত। গৌড়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে মসজিদগুলি বাদশাহী আমলের বলে এ যুক্তি অগ্রাহ্য করা যায়না। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ তিনটি ব্যবহৃত হয়ে আসায় এর কোনপ্রকার অঙ্গহানী ঘটেনি।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়