২০৩০ সালের মধ্যে টিবিমুক্ত হবে দেশ
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২
দেশে একটা সময় টিবি রোগ নিয়ে কিছু অপবাদ প্রচলিত ছিলো। যার কারণে অনেক রোগীই লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতো না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতির। এখন চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ টিবি রোগীই সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর তা সম্ভব হচ্ছে দেশীয় উৎপাদিত ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়েই। এসব ওষুধে ইতিমধ্যে চাহিদা মিটছে দেশের। আর তাই এসব ওষুধ ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানির করার আশা প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এসব ওষুধ উৎপাদনে প্রয়োজনে আমাদের বাজেটে যে বরাদ্দ রয়েছে তা বাড়ানো হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টিবিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিভাগ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে টিবি বিষয়ক নবম জেএমএম প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কার্যক্রম মূল্যায়নের জন্য প্রতি তিন বছর অন্তর জেএমএম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বলা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে যক্ষ্মা যেহেতু একটি প্রধান সমস্যা, তাই বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে, ২০২১ সালে নতুনভাবে ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের ৯৫ শতাংশ শনাক্তকরণ এবং তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ সম্ভব হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় যক্ষ্মা সংক্রমণের হার ২২৫ জন থেকে ২০২১ সালে সংক্রমণের হার ২১৮ জনের মধ্যে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় সব ধরনের যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা শনাক্তকরণ বেড়েছে, যা ২০১৫ সালে ছিল প্রায় ২ লাখ ৬ হাজার ৮৬৬ এবং ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৫৩১ জনে।
এসময় বলা হয়, দেশে ২০১২ সালে জিন এক্সপার্ট নামে একটি উন্নত স্বয়ংক্রিয় যক্ষ্মা শনাক্তকারী পরীক্ষা চালু করেছিল, যা এখন ৫১০টি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সব যক্ষ্মা অনুমানকারীর জন্য এ পরীক্ষাটি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম স্বল্পমেয়াদি ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করেছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যক্ষ্মা পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে আছে, এখনো তার প্রাদুর্ভাব রয়েছে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর ৩ লাখের অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়। অসংখ্য মারা যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুর হার কমেছে। ২০১৫ সালে যেখানে ৭০ হাজারের অধিক মৃত্যু ছিল, এখন তা ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের মৃত্যু বেশি, কারণ জনসংখ্যা বেশি।
জাহিদ মালিক বলেন, টিবি পরিস্থিতির অগ্রগতি হচ্ছে। ব্যাপক ভিত্তিতে টিবি স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলছে। আমাদের সব হাসপাতালে যক্ষ্মা পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে। টিবির বিষয়ে দেশে বেশকিছু স্টিগমা (অপবাদ) আছে। তবে পরিবর্তন আসছে। মানুষ এখন কুসংস্কার এড়িয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে যাচ্ছেন। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক। তাদের চিকিৎসা দেয়ার সব ব্যবস্থা রয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার চাপ শেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এসময় আমাদের স্বাস্থ্যখাত চাপে পড়েছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য দিয়ে দিতে হয়েছিল। তখন সরকারকে নতুন নতুন হাসপাতাল করতে হয়েছে। নতুন নতুন শয্যা ও সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে হয়েছে। এসময় টিবিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুতই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। যেখানে সারাবিশ্বে ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।
এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো টিবি লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব। ডায়াবেটিস, তামাকজাত দ্রব্যের সেবন টিবি নির্মূলে বড় অন্তরায়। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে টিবি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে টিবি নির্মূলে কাজ করতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টিবিমুক্ত হবে। সরকারের এই উদ্যোগের সঙ্গে অবশ্যই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করলেও বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এখনো ধারণা করা হচ্ছে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। এই লক্ষ্যে নবম জেএমএমে যক্ষ্মা কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন প্রস্তাবিত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টিবি মহামারির একটি টেকসই সমাপ্তির জন্য যক্ষ্মা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অর্জনযোগ্য সমাধানগুলো চিহ্নিত করা জরুরি।
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সোহেল বাঁচতে চায়
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন শতাধিক ছাতা ও পানির বোতল বিতরণ
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- ভোলাহাটে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশুদ্ধ পানির পাম্প স্থাপন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলীর ইন্তেকাল
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪২.৯ ডিগ্রিতে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ আটক ১
- ভোলাহাটে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা
- শিবগঞ্জে সাড়ে ১৪ হাজার কৃষক পেলেন সার-বীজ
- শিবগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে কমিটি
- বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় চীন
- বাড়ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
- সরকারি ক্রয় আইন পরিবর্তনের সুপারিশ
- সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নিন
- প্লাস্টিক বর্জ্যে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ
- সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে
- শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীরা পড়বেন ব্ল্যাকলিস্টে
- শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতের শিক্ষক পাবে প্রাথমিক স্কুল
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা
- ওমানে মাটি চাপায় শেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাদিমের দিন বদলের স্বপ্ন
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে:
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ আদায়
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- শিবগঞ্জে আগুনে পুড়ল আঁখ মিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল:
- শিবগঞ্জে ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের:
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব অনুমোদন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪২.৯ ডিগ্রিতে
- রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না
- রহনপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গভীর নলকূপে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- কনডম ব্যবহারে দশ ভুল
- বাসায় থেকেই সুস্থ হতে পারে করোনা রোগী: ডা. আতিয়ার
- গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু! … তারপরই ম্যাজিক!
- মাইগ্রেনের ওষুধ যৌন মিলন: গবেষণা
- ‘করোনার টিকা’ নিলে পাবেন ৬৫ হাজার টাকা!
- নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার জাদুকরী গুণ
- প্রতিদিন খালিপেটে কারিপাতা খেলে যত উপকার
- দিনে ১টি পেয়ারা খেলে কী হয়?
- করোনায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন বাড়ায় মৃত্যুঝুঁকি
- ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল
- অন্যের মাথার হেলমেট ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- নিমের ১০টি ওষধিগুণ
- নিঃশ্বাসের মাধ্যমেই হবে ক্যান্সার শনাক্ত
- কোমর ব্যথায় করণীয়
- চাপাইনবাবগঞ্জে সরকারের অনন্য অবদান ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল