সজনে পাতায় স্বাবলম্বী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডেস্ক :
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৩
পুষ্টির ডিনামাইট বলে পরিচিত সজনেগাছ। যার পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। পাতাগুলো অনেকটা জুয়েলারি ডিজাইনের মতো ছড়ানো। পাতাগুলো বেশ নরম, মসৃণ। বৃষ্টির পানি ধরে না। গবেষকরা সজনেরপাতাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড। এটি পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণের কারণে সবার পরিচিত। সজনে ও বারোমাসি সজনে এই দুই জাতের আবাদ শুরু হয়েছে। এই সজনেপাতা শত শত নারীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলছে।
রশিদা বেগম, স্বাধীনা বেগম, হরিপ্রিয়া রানী, আয়শা আক্তার, রহিমা বেগম বা জয়মতি, কানুবালা ও গিরিবালার মতো শত শত নারীকে এখন ভোরে কাজের আশায় গৃহস্থের উঠানে ছুটতে হয় না। যা সংসারের খরচ বহনে ভাগ্য খুলে দিয়েছে কয়েক শ নারীর আয়-রোজাগারের পথ এই সজনেপাতা। এতে ওই সকল গ্রামীণ নারীদের ভাত কাপড়ের চিন্তা করতে হয় না। থাকতে হয় না কোনো দুশ্চিন্তায়।
উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ ও রংপুরের তারাগঞ্জের দোলাপাড়া, দৌলতপুর, বেলতলী ও ইকরচালী এলাকার কয়েক শ নারী সজনেপাতা ও ডাঁটা বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা! কারণ বাড়ির উঠানের আনাচে-কানাচে, পতিত জায়গায় লাগানো সজনেগাছের ডাঁটা-পাতা বেঁচে থাকার স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পেয়েছেন তারা।
ওই সকল গ্রামে যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে ও বাড়ির উঠানে পরিত্যক্ত জায়গায় সারি সারি সজনেগাছ চোখে পড়ে। জানা গেল ২০২১ সালে দোলাপাড়া গ্রামের ২০ জন নারী জিটি মরিঙ্গা লিমিটেডের সজনে বাগান দেখে উৎসাহী হয়। পরে তারা রাস্তার ধারে ও বাড়ির উঠোনের পরিত্যক্ত জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষ শুরু করেন। তাদের দেখে গ্রামের অন্যরাও ঝুঁকে পড়ে সজনে চাষে।
দোলাপাড়া গ্রামের গিরিবালা বলেন, আগে শুধু সজনে ডাঁটা রান্না করে খেতাম। কিন্তু এখন পাতাও বিক্রি হয়। এক কেজি পাতা ৪০০ টাকা দরে কিনে নেয় কোম্পানি। সজনে চাষে কোনো খরচ নেই কিন্তু লাভ আছে। সজনেপাতা বিক্রির টাকায় এখন আমার ভাত-কাপড় হয়। একই গ্রামের হরিপ্রিয়ার স্বামী গণেশ চন্দ্র বয়সের ভারে অচল। পরিবারে আয়ের আর কোনো উৎস না থাকায় হরিপ্রিয়াকেই দিনমজুরি করতে হয়। দিনমজুরির পাশাপাশি এখন বাড়ির চারদিকে লাগানো সজনেগাছ থেকে তার আয় হচ্ছেÑ মাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
হরিপ্রিয়া বলেন, আমরা তো সজনেপাতা ফেলে দিতাম। পরে জিটি মরিঙ্গা লিমিটেডের সজনে বাগানে কাজ করার সময় জানতে পারি এক কেজি পাতার দাম ৪০০ টাকা। তখনই বাড়ির পাশের পতিত জায়গায় সজনেগাছ লাগাই। এখন ডাঁটা-পাতা বিক্রি করে তিন বেলা শান্তিপূর্ণভাবে খেতে পারছি এবং খুব ভালো আছি।
আরেক গৃহবধূ স্বাধীনা বেগম বলেন, সজনে চাষে কোনো খরচ নেই, ওষুধপাতি লাগে না। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ এলাকার নারীরাও সজনেগাছ রোপণ করে এর ডাঁটা ও পাতা বিক্রি করে ভাত-কাপড়ের অভাব মিটিয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি বাড়িতে সজনে চাষের জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। ফলে এলাকায় ব্যাপক হারে সজনের চাষ হচ্ছে। দোলাপাড়ায় অবস্থিত জিটি মরিঙ্গা লিমিটেডের সুপারভাইজার জহুরুল আলম বলেন, দুই বছর আগে আমরা এ গ্রামে দুই একর জমিতে সজনে চাষ শুরু করি। এখানে কাজ করতে আসা নারীরা আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির উঠানে ও পতিত জায়গায় সজনে চাষ করছেন। আমরা তাদের বাড়ি থেকে পাতা সংগ্রহ করে থাকি। পরে সেসব পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছি। এমনকি বিদেশেও চলে যাচ্ছে সজনেপাতার গুঁড়া।
কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম বলেন, বৈশাখ মাসে সজনেগাছ রোপণের আদর্শ সময়। ৫ ফুট লম্বা ডাল কাটিং করে এক ফুট গর্ত করে রোপণ করতে হয়। কোনোভাবে গোড়ায় পানি প্রবেশ করানো যাবে না। সারি থেকে সারি দূরত্ব ১০-১২ ফুট রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের সহায়তায় সজনে চাষ বাড়ছে। গাজরের চেয়ে ৪ গুণ ভিটামিন এ। কলার চেয়ে ১৫ গুণ পটাশিয়াম বেশি এবং দুধের চেয়ে ৮ গুণ ক্যালসিয়াম বেশি। সহজেই বোঝা যায় সজনেপাতার উপকারিতা। সজনেপাতা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। গবেষণায় জানা গেছে, সজনেপাতা রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
আথ্রাইটিস, জয়েন্ট পেইন, এজমা, ক্যান্সার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, পাকস্থলী সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ নিরাময়, মাথাব্যথা, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি দূর করে। সজনেগাছের বৈজ্ঞানিক নাম Moringa Oleifera. বিশ্বে এর ৪টি নাম- ১. The Drumstick Tree, 2. The Miracle Tree, 3. The Ben oil Tree, 4. The Horseradish Tree. সজনেগাছ একটি অবিনাশী গাছ। যে কোনোভাবে লাগালেই হয়। ডাল লাগালেও হয়। বীজ থেকে চারা করেও রোপণ করা যায়। সজনেগাছে তেমন সার প্রয়োগের প্রয়োজন নেই, পাতা বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন ব্যবহার আবশ্যক। অ্যামোনিয়াম সালফেট দেওয়া যেতে পারে গাছের বৃদ্ধির জন্য। গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া যাবে, তবে অতিরিক্ত নয়।
সরকারের পক্ষে হর্টিকালচার স্থাপন করা হয়েছে। সবই আছে নেই শুধু সজনে! ওই নারীরা কথা বলার সময় জানান, সজনেপাতা সংগ্রহ করার সময় পাতাগুলো বালতি ভরা পানিতে চুবিয়ে নিতে হয়- যাতে করে ধুলোবালি ঝরে যায়। এরপর পাতাগুলো কা- থেকে ছাড়িয়ে নিতে হয়। ৩/৪ দিন প্রখর রোদে শুকাতে হয়। শুকানো হয়ে গেলে হাত দিয়ে গুঁড়া করে নেওয়া যায়। কেউ ইচ্ছে করলে কাঁচের বোতলে রেখে চায়ের মতো জ্বাল দিয়ে চায়ের পরিবর্তে সজনে চা খেতে পারেন।
জানা গেল ঘুমের সমস্যা যাদের, সজনে চা খেয়ে দেখতে পারেন। ভালো ঘুম হবে নিঃসন্দেহে। সজনে চা ক্যাফেইন ফ্রি। যতবার ইচ্ছা ততবারই খেতে পারেন, সমস্যা নেই। আপনি প্রতিদিনই সজনে খেতে পারেন। কারণ, এতে রয়েছে অতি মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। আর জানেনই তো অক্সিজেন-ফ্রি রেডিক্যালসের বিরুদ্ধে অ্যাল্টি-অক্সিডেন্টস কাজ করে। ফ্রি-রেডিক্যালস কমাতে সজনে চা ১ নম্বর কাজ করতে পারে। এই চা আপনার কোলেস্টরল কমাতেও কাজ করে? হার্টের শক্তি বৃদ্ধি করে। রক্ত কণিকার কোষগুলোকে ব্যাপক উজ্জীবিত করে। ড্যামেজ সেলগুলো ফিরে পায় প্রাণ! যাদের চুল, ত্বক, হাড়ের সমস্যা আছে তাদের জন্য নিয়মিত হোক এই চা। আপনার মন ভালো নয় ক্যান্সার থেকে মুক্ত হতে চান? তাহলে সজনে চা।
সজনেপাতা গুঁড়া করে খেতে না চাইলে পাতাগুলো ভেজে খান। শাক যেমন করে ভাজেন ঠিক সেভাবে। সজনেপাতা যেভাবেই খান, উপকার পাবেনই। সজনে ডাঁটা তো মানুষ গুগল না ঘেঁটেই উপকার পেয়েছে বহু আগে। বিশেষজ্ঞদের মতে ব্যাপকহারে সজনেগাছ লাগানো দরকার। আমরা নিজে বাঁচি, বিশ্বকে বাঁচাই। সারা বিশ্বে এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। আমরা যদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে সজনেগাছ লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের শরীর-মনের উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সজনেপাতার গুঁড়া আমরা বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারি। ১ কেজি পাতা থেকে শুকনো গুঁড়া হবে সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম। সেই হিসেবে ৫ কেজি পাতা থেকে ১ কেজি গুঁড়া সজনে পাওয়া যাবে। সুত্র-জনকণ্ঠ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম উৎপাদন-প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানী বিষয়ে কর্মশাল
- নাচোলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- ওমানে মাটি চাপায় শেষ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাদিমের দিন বদলের স্বপ্ন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার, শিশুসহ আটক ৪
- গোমস্তাপুর ইসলামি সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী
- শিবগঞ্জে ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর ২ সদস্য নিহত
- থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মূল সড়কে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল:
- গবেষণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
- আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
- স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব
- সরকারি সুবিধাভোগী নির্বাচনের প্রচারে নামলে প্রার্থীতা বাতিল:
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- সবাইকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে হবে
- শেখ জামালের আজ ৭১তম জন্মদিন
- শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের:
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে
- শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে ভস্ম
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত নুহুর হাসপাতালে মৃত্যু
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে:
- ভোলাহাটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ আদায়
- চাঁপাইয়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- গোমস্তাপুরে উফশী ধানচাষে প্রনোদনা পাচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক
- নাচোলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ
- শিবগঞ্জে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- আট মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ ৯০ ভাগ
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- শিবগঞ্জে আগুনে পুড়ল আঁখ মিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা:
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- কালাই রুটি তৈরির রেসিপি
- নতুন জুতা পরে পায়ে ফোস্কা?
- শিবগঞ্জে আদি চমচম তিনভাগে ভাগ হলেও স্বাদ এখনো সেই ১৫০ বছর আগের মত
- বাড়িতে হাত ধৌত করার নিয়ম
- বন্ধুর প্রেমে পড়েছেন?
- স্বামীর কাছে যেসব বিষয় লুকিয়ে রাখেন নারীরা
- করোনা প্রতিরোধে যা যা খাবেন
- আজকের রাশিফল
- সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়ি ফিরে যা করবেন
- লকডাউনে মন ভালো রাখবেন যেভাবে
- উপকারী ফল পেয়ারা
- ভাত নষ্ট হচ্ছে? ফেলে না দিয়ে তৈরি করুন সুস্বাদু মিষ্টি
- ইফতারে চিকেন সমুচা
- হঠাৎ পেশিতে টান? জেনে নিন করণীয়
- নিজেই তৈরী করুন বোরহানি