বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল শনাক্ত করতে পারবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল বাণিজ্যিক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ঋণখেলাপি গ্রাহককে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে। এক্ষেত্রে পরিদর্শক দল গ্রহীতার খেলাপি হওয়ার কারণ, ঋণ পরিশোধের আগের রেকর্ড, ব্যাংক-গ্রাহকের মধ্যকার সম্পর্কের ধরন, ঋণের বিপরীতে জামানতের পর্যাপ্ততা বিবেচনায় নেবে।
পাশাপাশি ঋণের টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে কিনা, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে কিনা, গ্রাহকের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে বিরত থাকছেন কিনা- এগুলোও পরিদর্শক দল বিবেচনায় নিতে পারবে। পরিদর্শক দল ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক প্রচলিত নিয়ম মেনে ওই গ্রাহককে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে শনাক্ত করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২ মার্চ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণখেলাপিদের মধ্যে থেকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত করার নীতিমালা জারি করেছে। ওই নীতিমালায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্তকরণ ইউনিটকে কোনো ঋণখেলাপি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হবেন তা শনাক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলকেও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রণীত ম্যানুয়াল অনুযায়ী পরিদর্শন দল উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করবে।
ম্যানুয়ালে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে শাখা পরিদর্শনে গিয়ে তারা ঋণখেলাপিদের কেস স্টাডি পর্যালোচনা করতে পারবে। ওই পর্যালোচনায় যদি দেখা যায়, ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত নেই, গ্রাহকের সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ করছেন না, অথচ অন্য নামে অন্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, ঋণের টাকা পাচার করার নজির পেলে, ঋণের টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করলে, ঋণের জামানত সরিয়ে নিলে, কোনো জাল-জালিয়াতি বা প্রতারণার আশ্রয় নিলে ওই গ্রাহককে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এর প্রয়োগ কতটুকু সম্ভব হবে সেটি এখন দেখার বিষয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর রাজনৈতিক চাপ না থাকলে এটি করা সম্ভব। কিন্তু রাজনৈতিক চাপ এলে কিছুই হবে না। অনেক আইনের মতো এটি শুধু কাগুজে আইন হিসাবেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে। খেলাপিরা সবাই সম্পদশালী। আইনের প্রয়োগ হলে খেলাপি ঋণ আদায় হবে। কিন্তু ঋণ বাড়িয়ে বা অবলোপন করে খেলাপি কমানো ঠিক হবে না। আদায় করেই কমানো উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল কোনো খেলাপিকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসাবে শনাক্ত করলে ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্তকরণ ইউনিট গ্রাহককে শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখপূর্বক তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিয়ে নোটিশ দেবে। ওই সময়ের মধ্যে গ্রাহক জবাব না দিলে বা গ্রাহকের দেওয়া জবাব গ্রহণযোগ্য না হলে তিনি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবেন। এক্ষেত্রে ওই ইউনিট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমোদন নিয়ে তা চূড়ান্ত করবে। এরপর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তা গ্রাহককে জানাতে হবে। গ্রাহক এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করলে ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে পারবে। ওই সময়ের মধ্যে গ্রাহক আবেদন না করলে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বক্তব্য গ্রহণ না করলে তিনি চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবে।
এরপর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে তার তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে পাঠাতে পারবে। একই সঙ্গে ওইসব সংস্থার দেওয়া সেবা থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করতে পারবে। আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এর মধ্যে ওই গ্রাহক বিমানে চড়তে পারবেন না, নতুন ব্যবসা করার জন্য কোনো ট্রেড লাইসেন্স করতে পারবেন না, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড নিবন্ধন ফার্মস থেকে কোনো কোম্পানির নিবন্ধন নিতে পারবেন না, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ বা বন্ড ছাড়ার অনুমোন পাবেন না। এ ছাড়া জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে কোনো নিবন্ধন পাবেন না। তবে গ্রাহক যদি আদালতে মামলা করে ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সিদ্ধান্তকে স্থগিত করতে আদালতের আদেশ পান, তবে এসব বিষয় স্থগিত থাকবে।
প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক পরীক্ষান্তে ওই গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে চিহ্নিত না হলে তা চূড়ান্ত করার পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন বিভাগের কাছে শনাক্তকৃত না হওয়ার কারণ উল্লেখ করে পত্র দিতে হবে। এর বিপরীতে পরিদর্শন বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ব্যাংককে তা চূড়ান্ত করতে হবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাখ্যা গ্রহণ করলে ওই গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মুক্ত হবেন। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যাখ্যা গ্রহণ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবেন। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ওইসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রচলিত আইন অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল যেকোনো ব্যাংকের শাখায় পরিদর্শনে গিয়ে যে কোনো গ্রাহককে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করতে পারে। এখন তারা সাধারণত গ্রাহকের ঋণের বিপরীতে যথেষ্ট জামানত না থাকলে, ঋণ পরিশোধের রেকর্ড খুব দুর্বল থাকলে বা ব্যাংকের সঙ্গে গ্রাহকের কোনো যোগাযোগ না থাকলে, ঋণের টাকা পাচার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই ঋণগ্রহীতাকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করেন। ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ কম দেখাতে এই ধরনের গ্রাহককে খেলাপি না করলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দল পরিদর্শনে গিয়ে ওই সব ঋণগ্রহীতাকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করে। কোনো গ্রাহককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একবার খেলাপি করলে তাদের অনুমোদন ছাড়া ওই গ্রাহককে ব্যাংক আর নবায়ন করতে পারে না। এখন পরিদর্শক দল কোনো খেলাপিকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করার ক্ষমতাও পেল। তারা কোনো খেলাপিকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করলে তাদের অনুমোদন ছাড়া ওই গ্রাহককে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।
- নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
- শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের:
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব অনুমোদন
- চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- রহনপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- শিবগঞ্জে আগুনে পুড়ল আঁখ মিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গভীর নলকূপে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ আরো ১৪ পণ্য
- গ্যাসের সিস্টেম লস শূন্যে নামানো হবে : নসরুল হামিদ
- আগামী ৬ জুন নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন :
- বেনজীর ও পরিবারের অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে:
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- যুদ্ধকে ‘না’ বলুন যুদ্ধ কোনো সমাধান আনতে পারে না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে ভস্ম
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে পানির পরিবর্তে ওঠা তরলে জ্বলছে আগুন
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত নুহুর হাসপাতালে মৃত্যু
- ভোলাহাটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গোমস্তাপুরে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে গ্রেফতার ১০
- চাঁপাইয়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- শিবগঞ্জে ১৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- গোমস্তাপুরে উফশী ধানচাষে প্রনোদনা পাচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক
- নাচোলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ আদায়
- শিবগঞ্জে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ব্যয় নেমেছে অর্ধেকে
- বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি
- আট মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ ৯০ ভাগ
- জাতিসংঘে উঠল পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতির কথা
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা:
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ