বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ বৈশাখ ১৮ ১৪৩১ ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গ্রাহকের আনুমানিক ৭লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে “বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটি” নামের একটি এনজিও উধাও হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা‘ এনজিওটির অফিসের মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে টানাটানি শুরু করে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কসবা ইউনিয়নের এলাইপুর বাজারে বাংলাদেশ গ্রামীন উয়ন সোসাইটির কার্যলয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এনজিওটির গ্রাহক শ্রীপতি কর্মকার বলেন, ‘বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি এনজিও কসবা ইউনিয়নের এলাইপুর বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে ঋনদান ও সঞ্চয় সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। তারা আমাদের এলাকায় গিয়ে ঋণ দিবে বলে জনপ্রতি ৭৫০০, ৫০০০, ৩০০০ সঞ্চয়ের টাকা নিয়েছে। ৪ মাস পূর্বে এই এনজিওর মালিক এক লক্ষ টাকায় বছরে আমাকে ২৪ হাজার টাকা লাভ দিব বলে আমার কাছে থেকে এক লক্ষ টাকা সঞ্চয় নিয়ে সদস্য বানায়। গত এক সপ্তাহ ধরে আমি তাদের অফিসে সঞ্চয়ের টাকা আনতে গিয়ে দেখি যে,তাদের অফিসে তালা। একপর্যায়ে এনজিওর মালিক নাইম কে ফোন দিলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকদিন পর শোনা যায় যে এনজিওটি পালিয়ে গেছে। সোমবার দুপুরে সেই অফিসের মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অন্য গ্রাহকরা মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে হট্টগোল বাধে।
অন্যদিকে গ্রাহক মিলি খাতুন ও ফারুক জানান, লোন নেয়ার শর্তে দুই মাস পূর্বে তারা ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা রাখার পর লোনের জন্য তারা অফিসে এসে জানতে পারে অফিসটি তালাবদ্ধ। তারা আরও জানান এ এনজিও টি প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে।পরে খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা সোমবার দুপুরে অফিসের তালা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অন্য গ্রাহকরাও তাদের সঞ্চয়ের টাকার বিনিময়ে সেই মালামাল নেয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল বাধে। বিষয়টি জানতে বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটির এনজিওর মালিক নাইম ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নাচোল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে লাপাত্তা এনজিওটি এলাইপুর বাজারে তাদের ঋনদান ও সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো । হঠাৎ বিকেলে অফিসের সামনে হট্টগোল দেখে জানা যায় এনজিও টি পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কোন এনজিও এমআরএ ছাড়া এই উপজেলায় ঋনদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। সকল এনজিওর মালিককে এমআরএ লাইসেন্স জমা দিতে বলা হয়েছে। আর কথিত এনজিওর বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অন্যদিকে নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, তিনি বিষয়টি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, নাচোলে সমাজ সেবার নিববন্ধন নিয়ে এমআরএ ছাড়াই নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে দেদারসে প্রায় ৮০টি এনজিও উচ্চ হারে সুদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
স/এমএমআই
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়