শনিবার ০৪ মে ২০২৪ বৈশাখ ২১ ১৪৩১ ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দর্শনার্থীদের মতে- দূর থেকে মসজিদটি দেখলে তাজমহল বা রাজ প্রাসাদ মনে হয়। এর অপরূপ সৌন্দর্য আর চোখ ধাঁধানো ডিজাইন নজর কেড়েছে সবার। প্রেমের প্রতীক তাজমহলকে অনুসরণ করে নির্মাণ করা মসজিদটি দেখতে এসে প্রেমে পড়ছেন সব বয়সের দর্শনার্থী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এক বিঘা জমির উপর নির্মাণাধীন ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের এ মসজিদে ১৬টি পিলারের উপরে আছে ৩২টি ছোট মিনার। এছাড়া চার কোণে সুউচ্চ চারটি মূল গম্বুজ আছে, প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফুট। নান্দনিক নির্মাণ শৈলি ফুটে উঠেছে মসজিদের গম্বুজের ভেতর ও বাইরে। ভারত, চীন ও ইতালির মার্বেল পাথর-গ্রানাইট ও মূল্যবান কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদে। মসজিদটির নকশায় সাদা মার্বেল পাথরের উপর ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, চাঁদ-তারা, নক্ষত্র ও আরবি ক্যালিগ্রাফি স্থান পেয়েছে।
তিনতলা এ মসজিদের নিচতলায় বিশেষ ব্যবস্থায় রয়েছে লাইব্রেরি, সেমিনার কক্ষ, ইমাম ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের সামনে থাকছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা।
ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে দিনাজপুরে মসজিদটি নির্মাণ করছে জেলার অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদনকেন্দ্র স্বপ্নপুরীর স্বত্ত্বাধিকারী আফতাব পরিবার। স্বপ্নপুরীর কথা ভেবে আগ্রার তাজমহলের অনুসরণ করে আফতাবগঞ্জে সুদৃশ্য, নান্দনিক স্থাপত্যের মিশ্রণে মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা দেলওয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ২০১৫ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হবে ২০২৫ সালে। ২০২১ সালের জুন মাস থেকেই এ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। স্থানীয় হাটের টোল তোলার পর তা মসজিদের নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে। অপূর্ব এ মসজিদ অচিরেই দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আফতাব পরিবারের সদস্যরা।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়