শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০১৮
গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি। এর মধ্যে সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় কারও ন্যূনতম দুই বছর কারাদণ্ড হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। কিন্তু বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ ও নজির রয়েছে।
আইনটির কথা মনে করিয়ে দিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা যে কোনো নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। এটা আদালতের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করবে। শুধু খালেদা জিয়ার কথা বলছি না, সবার জন্য বলছি, যদি কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে চান, কোনো দণ্ডে দুই বছরের বেশি দণ্ডিত হয়েছেন পূর্বে এ রকম কোনো লোক একটি নির্দিষ্ট সময় পার না হলে প্রার্থী হতে পারেন না। যারা এখন দণ্ডিত হয়ে দণ্ড ভোগ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে দণ্ডটার যদি আপিল না থাকে, আপিলে যদি তাকে নির্বাচনে একেবারে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়টি যদি নির্দিষ্ট করা না থাকে তাহলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু যদি বলা থাকে আপিলে সাজাটাকে স্থগিত করা হয়নি, তাহলে কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিএনপি যদি আইনি লড়াই চালায় সেক্ষেত্রে কী হবে- প্রশ্ন করা হলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারা আবারও আদালতের কাছে যেতে পারেন। আদালত বিচার-বিশ্নেষণ করে প্রার্থিতা বহাল রাখতেও পারেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিন্তু আমরা জানি না, তিনি আপিল করবেন কি-না? আপিল করলে সেখান থেকে কী ধরনের রায় আসবে, এটা আদালত নির্ধারণ করে দেবেন।
নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি আইনি কাঠামো না পায়, তাহলে সংসদ ভোটে ইভিএম ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। আইনি কাঠামো পেলে মিনিমাম হলেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
রাজনৈতিক শিবিরে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে নির্বাচন নিয়ে অনেকে শঙ্কা দেখলেও তা উড়িয়ে দিচ্ছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো শঙ্কা নেই। সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলার প্রয়োজনে যদি সেনাবাহিনী নির্বাচনে আনতে হয়, তাহলে আমরা আনব। এটা প্রতিটি নির্বাচনেই হয়। সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়