সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৬ ১৪৩১ ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনটি যেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মানুষের জন্য একটু ভিন্ন ভাবেই এসেছে। কারণ এ উপজেলার দই বিক্রেতা জিয়াউল হক পেয়েছেন একুশে পদক। এতে এলাকাজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক গ্রহণের পর গ্রামে ফিরেছেন জিয়াউল হক। বুধবার সকাল থেকেই জিয়াউল হকের বাড়িতে তার ছোট্ট পাঠাগারে গ্রামের মানুষের ভিড় জমে। জিয়াউল হককে নিয়েই একুশের প্রভাত ফেরি করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জিয়াউল হকের সঙ্গে বেশ কিছুসময় ধরে কথোপকথন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ বিষয়ে জিয়াউল হক বলেন, আমি আমার পাঠাগারের স্থায়ী ভবন ও বই চেয়েছিলাম। একই সঙ্গে আমার এলাকার স্কুলটি সরকারি করণের বিষয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার কথা শুনেছেন ও দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন।
অনেকে দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা ছিল সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হকের। অনেকের কাছেই বলেছিলেন সেই আকাঙ্ক্ষার কথা। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি ৯১ বছর বয়সী জিয়াউল হক। তিনি বলেন, এখন মরেও শান্তি পাব।
জিয়াউল হক পাঠাগারের বই পড়ে আজ অনেকেই শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। জিয়াউল হকের একুশের পদক প্রাপ্তির পর, তারও জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা ও নিজেদের আনন্দের অনুভূতির কথা।
এদিকে দুপুরে জিয়াউল হককে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান এবং পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য বই উপহার দেন জেলা প্রশাসক।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়