প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় বাস্তবতার ছাপ
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৪
![](https://www.chapainawabgonj.com/media/imgAll/2018November/Screenshot_3-2405140706.jpg)
অর্জনের শঙ্কা থেকেই শেষ পর্যন্ত এক শতাংশ কমিয়ে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চাভিলাষী থেকে বেরিয়ে আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও ৭ শতাংশের নিচেই রাখা হচ্ছে। সর্বশেষ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ সংক্রান্ত ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার’ সংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে আগামী তিন অর্থবছরের (২০২৪-২৫ থেকে ২০২৬-২৭) গড় প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ঘরে থাকবে এমন প্রাক্কলন করা হয়েছে। অর্থ বিভাগ বলেছে-মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে প্রবৃদ্ধিতে এ শ্লথগতি দেখা দিয়েছে। তবে মধ্য মেয়াদে এর গতিশীলতা বাড়বে।
তবে অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা-প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অপেক্ষাকৃত বাস্তব ও গ্রহণযোগ্য হলেও অর্জন করা কঠিন হবে। কারণ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির নিয়ামক হচ্ছে বিনিয়োগ। নানা সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে বিনিয়োগ হচ্ছে না। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। এর বড় একটি অংশ আসে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই থেকে। কিন্তু এফডিআই বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও কমছে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ। জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ছিল ৩২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অথচ আগের বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে এই অঙ্ক ছিল ৩৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। হিসাব বলছে, বছর ব্যবধানে বিনিয়োগ কমেছে ৫.৫২ শতাংশ। মূলত ডলার সংকট, অর্থ পাচার ও দুর্নীতি, অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা, সেবা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি ও জ্বালানি সংকটের মতো বিষয়গুলোকে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অনেক দেশে সুদহার বেড়েছে। সঙ্গত কারণেই সেসব দেশে মূলধনের বড় অংশ বিনিয়োগ হচ্ছে। আমাদের এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে হলে তাকে দুইটা ফ্যাক্টর কনসিডার করতে হয়। তার একটা হলো মুদ্রা বিনিময় হার ঝুঁকি, আরেকটা বিনিয়োগের ঝুঁকি। যে কারণে উন্নত দেশের যেখানে মুদ্রা বিনিময় হারে কোনো ঝুঁকি নেই, সেখানে এই মূলধন চলে যায়।
উল্লেখিত কারণ ছাড়াও বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া আগের বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক থাকবে বলে অর্থ বিভাগ মনে করছে। এগুলোর প্রভাব এসে পড়েছে প্রবৃদ্ধিতে। যে কারণে চলতি অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে জিডিপির আকার সংশোধন করে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। টাকার অঙ্কে ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৮১৭ কোটি নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বিশ্বব্যাংক আরও কমিয়ে বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
এদিকে সরকারের ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিয়ম হার সংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল’ বৈঠকে আগামী তিন অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রার অনুমোদন দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, টাকার অঙ্কে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। এটি আগামী বাজেটে ঘোষণা দেওয়া হবে। এর বাইরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওই বৈঠকে এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে অর্থ বিভাগ। সেখানে বলা হয়, সার্বিকভাবে চাহিদা কমে যাওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের উৎস দেশগুলোর স্থিতিশীলতা এবং খাদ্য উৎপাদনে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া রপ্তানি, প্রবাস আয় ও আমদানি পরিস্থিতির উন্নতি এবং ফাস্টট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরবরাহ বাড়িয়ে উন্নয়নের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে, মধ্যমেয়াদে তা ক্রমান্বয়ে বাড়বে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সোমবার যুগান্তরকে বলেন, বহির্খাতের অবস্থা সন্তোষজনক নয়। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। কাজেই এগুলো আমাদের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ নানা কারণে বাড়ছে না। ব্যাংক খাতের সমস্যার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমছে। বিদেশ থেকে কাঁচামাল, প্রাথমিক পণ্য ও মূলধনী যন্ত্রাংশ আমদানি বড় মাত্রায় কমছে। এতে বিনিয়োগ কমার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। ফলে চলতি অর্থবছরে সংশোধন করে যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, তা অপেক্ষাকৃত বাস্তবসম্মত। আগামী অর্থবছরেও খসড়া প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটিও অনেকটা উচ্চাভিলাষী বলে আমি মনে করি। কারণ বর্তমান ডলার সংকট, রপ্তানি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে নতুন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণযোগ্য হলেও কিন্তু অর্জন হবে না।
প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্থ বিভাগের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ২০২২-২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ২০২৩-২৪ সালে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ সালে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। মূলত ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। তা মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় দেশই নীতি সুদহার বাড়াতে থাকলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যায়। তবে ইতোমধ্যে অনেক দেশের মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। ফলে মধ্যমেয়াদে প্রবৃদ্ধির গতিধারা স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি মধ্যমেয়াদে ৪ শতাংশের ওপরে থাকবে। পাশাপাশি এশিয়ার উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে।
ওই বৈঠকে অর্থসচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার জানান, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে করোনা অতিমারিকালে দক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসছে বাংলাদেশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ হলেও মধ্যমেয়াদে এর গতি ক্রমান্বয়ে বাড়বে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে আমন ও বোরো ধানের উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে। এতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।
![চাঁপাইনবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ](https://www.chapainawabgonj.com/media/PhotoGallery/2018November/Advt360x280-1811270723-1811281130.jpg)
- রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বঘোষিত সমন্বয়ক সালাউদ্দিন
- আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে রাবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- ঢাকাসহ ৪ জেলায় ফের কারফিউ বহাল
- ৯ দিন ধরে বন্ধ, ট্রেন চালুর বিষয়ে যা জানালেন রেলমন্ত্রী
- এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে কবে জানালেন মন্ত্রী
- ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি
- শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি: প্রধানমন্ত্রী
- বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি:
- বিএনপি-জামায়াতের লাশের রাজনীতিতে মানুষ নিহত হয়েছে :
- ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- ঢাকায় বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঢাকার নিরাপত্তায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
- মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে: পলক
- শাটডাউনে চলবে মেট্রোরেল, বাস চালানোর নির্দেশনা
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- আদালতের রায় আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান
- কোটার রায় বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল রাষ্ট্রপক্ষের
- মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে
- ফেসবুকে কর্মসূচি ঘোষণা, আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা
- হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ নামের কোন কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি
- মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
- পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ২৫% থেকে কমে ৫.৬%
- প্রশ্ন ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না পিএসসির কর্মকর্তারা
- টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল
- সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন
- ধ্বংসাত্মক কাজ করলে ছাড় নয়
- আজ পবিত্র আশুরা
- আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না
- যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ভিত্তিহীন,উসকানিমূলক: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ঢাকাসহ ৪ জেলায় ফের কারফিউ বহাল
- বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি:
- ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি
- এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে কবে জানালেন মন্ত্রী
- ৯ দিন ধরে বন্ধ, ট্রেন চালুর বিষয়ে যা জানালেন রেলমন্ত্রী
- শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি: প্রধানমন্ত্রী
- আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে রাবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বঘোষিত সমন্বয়ক সালাউদ্দিন
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ