ব্রেকিং:
বন্যার্তদের পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছাত্র সমাজ-চলছে অর্থ সংগ্রহ শান্তি -সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে নাচোলে সুজনের মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলাগাছের ভ্যালার বস্তায় মিলল ফেনসিডিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক গোমস্তাপুরে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

সোমবার   ০২ জুন ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩২   ০৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

সর্বশেষ:
বন্যার্তদের পাশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছাত্র সমাজ-চলছে অর্থ সংগ্রহ শান্তি -সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে নাচোলে সুজনের মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলাগাছের ভ্যালার বস্তায় মিলল ফেনসিডিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক গোমস্তাপুরে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
১৪৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৪ কেজির‘মণে’ জিম্মি আমচাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৫  

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে তুলনামূলক ফলন ভাল হয়েছে। বিগত দিনে লোকসানের কারনে এবার ভাল দামের আশায় বুক বেধেছিল ব্যবসায়ীরা। তবে আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা।
দেশের সবচেয়ে বড় আমবাজার কানসাট, রহনপুর ও ভোলাহাট ঘুরে দেখা যায়, আমচাষিদের জিম্মি করে ৫২ থেকে ৫৪ কেজিতে এক মণ হিসাবে বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের। আর বাড়তি কেজিতে আম বিক্রি না করলে চাষিদের কাছ থেকে কেনাও বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর এক মণ আমে ১২ থেকে ১৪ কেজি বেশি নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

আমচাষিদের দাবি, বাজারে এক মণ আম ৪২ কেজিতেই বেচাকেনা করতে হবে।  এনিয়ে কয়েক বছর ধরে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে একাধীকবার অভিযোগ করা হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
 
এদিকে, আড়তদারদের কাছে জিম্মি হয়ে অতিরিক্ত ওজনে আম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। এতে আম চাষ করে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর কয়েক বছর ধরে চলা এ অনিয়ম দেখার যেন কেউ নেই। প্রশাসন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে বারবার অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না চাষিরা।
 
কানসাটের আমচাষি আব্দুল মবিন বলেন,গত কয়েক বছর ধরে আমের মণের ওজনের পরিমাণ বাড়ছে। ৪৪ কেজি থেকে শুরু হয়ে এখন ৫৪ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। এক প্রকার জোর করেই ৫৪ কেজিতে মণ হিসাবে আড়তদাররা আম কিনছেন। বেশি ওজনে আম বিক্রি করতে না চাইলে পুরো সিন্ডিকেট কেনা বন্ধ করে দেয়। আর আম যেহেতু পচনশীল, তাই ভয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
 
আমচাষিরা বলছেন, আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনো সমাধান পাইনি। শুধু আশ্বাসেই আটকে আছে। এর সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। কারণ, এ বিষয়টি এখনই সমাধান না হলে, দিনদিন এ অত্যাচার বাড়তে থাকবে। অতিরিক্ত আম নেয়াটা কৃষকদের ওপর জুলুম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
কানসাট বাজারের আরেক আম বিক্রেতা শহিদুল হক বলেন, গত চার বছর আগে আমরা ৪২ থেকে ৪৩ কেজিতে মণ ধরে বিক্রি করেছি। কিন্তু ২০২২ সালে ৪৮ কেজিতে মণ ধরে আম কেনেন আড়তদাররা। সেই থেকে বছর বছর ওজন বাড়ছে। চলতি বছর ৫২ থেকে ৫৪ কেজিতে মণ ধরে আম কিনছেন। আমরা এখন বিপাকে পড়েছি। কোথায় যাবো, আর কার কাছে বলব এ অনিয়মের কথা?
 

কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা জানান, শুধু কানসাট নয়, রাজশাহী, নওগাঁ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট সব খানেই বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আমরা চাই, রাজশাহী বিভাগের সব আম বাজারে মণে একরকম ওজন নির্ধারণ হোক। এটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগেও বৈঠকে বসেছিলাম।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব আহসান হাবিব বলেন,আমরা কষ্ট করে আম উৎপাদন করি। কিন্তু আড়তদাররা মণে ১২ থেকে ১৪ কেজি আম বেশি নিচ্ছেন। এ অনিয়ম কয়েক বছর আগে থেকেই চলছে। আমরা এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে মুক্তি চাই।
 
তিনি আরও বলেন,মণপ্রতি ১২ থেকে ১৪ কেজি বেশি ধরে যে অতিরিক্ত আম নেয়া হয়, তার বাজারমূল্য অন্তত ৫০০ কোটি টাকা।
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সামাদ বলেন,‘কানসাট আম বাজারে ওজন নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যামাত্র ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ