রোববার ১৯ মে ২০২৪ জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১ ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৪
সমাজসেবায় অবদান রাখায় বেসামরিক পর্যায়ে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন দই বেচে বই বিতরণ করা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিয়াউল হক। আজ সোমবার নিজ জেলায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একুশে পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে জিয়াউল হক বলেন, জন্মাবধি এত খুশি হইনি। যতটা খুশি হয়েছি ২০ ফেব্রুয়ারি। যেদিন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ২১ পদক গ্রহণ করি। ৯১ বছর বয়সে এসে এই পদক প্রাপ্তিতে এখন আমার বয়স ২০ বছরের যুবকের মত।
এদিন (৪ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জিয়াউল হকের হাতে ক্রেস্ট ও বইসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার, ঢাকাস্থ ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রী সুমন্ত ঘোষ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বাররের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রহুল আমিন,চেম্বারের সহ-সভাপতি আখতারুল ইসলাম রিমন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু রহমানসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা।
জিয়াউল হকের ২১শে পদক প্রাপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, জিয়াউল হক একজন দই বিক্রেতা। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। প্রত্যন্ত এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ২১শে পদক প্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত। এরকম একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে এবং তাঁর কাজকে মূল্যায়ন করায় আমরা সরকারকে অভিনন্দন জানায়।
তিনি আরও বলেন, তাঁর এই কাজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণামূলক। আগামীতে তাঁকে অনুসরণ করে ব্যবসায়ীরাও সমাজ সেবায় এগিয়ে আসবে এই আহব্বান জানান তিনি।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ভারতীয় হাই কমিশনার মনোজ কুমারও। তিনি বলেন, একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ২১শে পদক প্রাপ্তিতে আমরাও গর্বিত। এ সময় তিনি জিয়াউল হকের পাঠাগারের ভবন নির্মাণ ও লাইব্রেরিতে বই দেওয়ার ঘোষণা দেন।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়