শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২
চুয়াডাঙ্গা জেলায় শুরু হয়েছে চায়নিজ ও দার্জিলিং জাতের কমলা লেবু চাষ। কম খরচ, লাভ বেশি। আর এ চাষে অধিক লাভ হওয়াতে কমলা চাষে ঝুঁকছে তরুণ কৃষি উদ্যেক্তারা। এ চাষে ভালো সম্ভাবনা আসবে মনে করছে চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিভাগ। সামনে এ কমলা চাষ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরে বুজরুগড়গড়ি বনানী পাড়া। ঠিক এ পাড়ার একপাশে দেখা যাবে মনমিলা গার্ডেন অ্যান্ড নার্সারি। আর এ নার্সারি মালিক তরুণ কৃষি উদ্যেক্তা আব্দুর কাদির সোহান । আর এ কৃষি উদ্যেক্তা চায়নিজ ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করেছে ২ বিঘা জমিতে কমলা গাছ আছে ২০০ টি। প্রতিটা গাছে লাল টকটকে কমলা ধরে আছে। এ কমলা অতিরিক্ত মিষ্টি আর রসালো খেতেও অনেক সুস্বাদু।
এমন কমলায় নজর কারছে আশে পাশের অনেক তরুণ কৃষি উদ্যেক্তাদের। তারাও এমন কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে চাষ শুরু করেছে। তাই প্রতিদিন এমন কমলা দেখতে বাগানে ভির করছে তরুণ কৃষি উদ্যেক্তারা।
প্রতিটি কমলা গাছে ১ বছরে খরচ হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিটি গাছে খরচ করে লাভের পরিমাণ দাঁড়াছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। এতে বলা যায় খরচ কম লাভ বেশি। প্রতিটা গাছে বছর শেষে কমলার পরিমাণ দাঁড়াছে ২০ থেকে ৫০ কেজি। ইতিমধ্যে এ কমলা গাছ থেকে কমলা সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এ বাগান থেকে কমলা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কমলার চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, এবার এ জেলায় ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমিতে চায়নিজ ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ শুরু হয়েছে। এতে করে সামনে আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা যায়।
জানতে চাইলে এ কমলা চাষের কৃষি উদ্যেক্তা আব্দুল কাদির সোহান তিনি বলেন, আমার এ বাগানে আমি চায়নিজ ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে সফল করতে পারছি। এ কমলায় খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। প্রতিটা কমলা এতো মিষ্টি যে তা বলা মতো না। আমাদের কৃষি সমৃদ্ধি এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতাই কমলা চাষে যেন একটি উদাহরণ। আর কমলা চাষ যদি সবাই করে তাহলে আসা করি সুফল পাবে। আমি এ কমলা দেশের বিভিন্ন জেলায় দেওয়া শুরু করেছি।
আরেক কমলা চাষি মকলেছুর রহমান তিনি বলেন, আমি এ চায়নিজ ও দার্জিলিং জাতের কমলার চাষ করে লাভবান হচ্ছি। যদি সবাই এ চাষে ঝুকে তাহলে অপার সম্ভাবনা আসা করা যায়। কমলার প্রতিটা গাছে লাভ করা হচ্ছে। এতো মিষ্টি এ কমলা আর টকটকে লাল। এতে নজর কারছে সবার। যে কারণে কমলা চাষে আরো অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছে।
এ সময় কমলার বাগানে আসা মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এ কমলার বাগান দেখতে এসে আমি অবাক যে এতো সুন্দর কমলা আগে কখনো দেখেনি। আমি বাগানের কয়েকটি গাছের কমলা খেয়ে যা বোঝা গেল অনেক রসালো আর অনেক মিষ্টি।
এ বিষয় কথা হয় চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিন রাব্বি বলেন, চুয়াডাঙ্গাতে শুরু হয়েছে চায়নিজ ও দার্জিলিং জাতের কমলা লেবু। এ কমলা চাষ করে তরুণ কৃষি উদ্দ্যোক্তরা বেশ ভালো ভাবে লাভবান হচ্ছে। আর এ কমলা অনেক রসালো আর অধিক মিষ্টি আর টকটকে লাল। যে কারণে এ কমলা চাষে মন কারছে সবার। তবে কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি উদ্দ্যোক্তাদের যাতে করে এ জেলায় কমলা চাষ আরো বৃদ্ধি পায়। আর এ কমলা চাষে সফলতা আসবে বলে আসা করা যায়।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়