শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ মে ২০২১
করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। মার্কেট ও বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
অনেকটাই ঢিলেঢালা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। অনেক দোকানে কোন স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নেই। এতে করে মানুষের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে বলে মনে কারছেন অনেকেই। এমনকি মানছেন না সামাজিক দূরত্বও।
সকাল ১০ টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার জন্য মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকলেও বাস্তব চিত্র তার উল্টো।
গতকাল সোমবার জেলা শহরের মার্কেটসহ অন্য বাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। নিউমার্কেটে দেখা গেছে, মার্কেটগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতারা একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে ঈদের কেনাকাটা করছেন। মার্কেটে আসা আগত ক্রেতাদের মাঝে করোনার কোন ভয় নেই।
প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তাদের নেই কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা, অনেককেই মাস্ক ছাড়াই মার্কেটে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। তাদের একটিই চিন্তা ঈদের বাজার করতেই হবে।
শামিমা আফরোজাসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, মাস্ক পড়ছে সবাই। তবে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মানছে না কেউ। পরিবারের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা হয়েছে। গাদাগাদি করে জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে।
এছাড়া শিশুদের সাথে করে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। বড়দের যতটুকু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, সেরকম শিশুদের নেই। ফলে ঝুঁকি থেকেই যায়। এমনভাবে অনেকেই ছোট ছোট শিশু নিয়ে বাজারে এসেছেন। এটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কাপড়পট্টি-জুতাপট্টির দোকানগুলোতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। এসময় ক্রেতাদের মুখে মাস্কও দেখা গেছে। বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি বলা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন সবাই। নিউমার্কেট কমিটির সভাপতি মুখলেসুর রহমান বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিটি দোকানে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও ক্রেতাদের সমাগম রোধে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে ঘনঘন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এরপরও যদি ক্রেতারা সচেতন না হয় তাহলে কী করার থাকে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়