শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০
করোনায় আক্রান্তের কারনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার এক দম্পতি কে গ্রাম ছাড়া হতে হয়েছে। আর গ্রামে জায়গা না হওয়ায় তাদের আশ্রয় হয়েছে পাশের ইউনিয়নের শশুরের একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে। আশ্রীতরা উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাবুপুর বয়তাল পাড়ায় মানষিকচাপে ভুগছে।
আক্রান্ত ব্যাক্তি জানান, তিনি ও তার স্ত্রী গাজিপুর থেকে ২১ মে নিজ গ্রাম চাঁদসিকারী আসলে তাদের বাড়িতে উঠতে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন আক্রান্ত ব্যক্তির সৎ মা। পরে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হকের সাথে তারা যোগাযোগ করলেও চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়।
গ্রামে আশ্রয় তারা না পেয়ে পাশের গ্রাম শ্যামপুরের বাবুপুরে শশুর বাড়ি আসলে সেখানেও গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখিন হন। পরে আক্রান্ত ব্যাক্তির শশুর তাদেরকে বাড়ির পাশের একটি পোল্ট্রি ফার্মে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে ২৩ মে নমুনা সংগ্রহের পর তাদের স্বামী স্ত্রীর নমুনায় করোনা পজিটিভ রির্পোট আসলে তাদের আশ্রয়স্থলটি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।
তিনি আরও জানান তাদের মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরলেও উপজেলা প্রশাসন, শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের কিছু উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছে।
এদিকে বিনোদপুর এলাকার সেলিম জানান, আক্রান্তরা গাজিপুর ফেরত হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার আগেই স্থানীয়রা এবং আক্রান্ত ব্যাক্তির পরিবার তাদের গ্রামে থাকতে না দেবার বিষয়টি জানিয়ে দেয়।এতে করে বাধ্য হয়ে তারা পোল্ট্রি ফার্মে আশ্রয় নেয়।
অপরদিকে আক্রান্তদের দেকভালের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ সেলিম জানান, আক্রান্তদের পোল্ট্রি ফার্মটি সম্পূর্নরুপে লক ডাউন করা হয়েছে। তারপরও এ এলাকার গ্রামবাসীরা প্রায় তাকে আক্রান্ত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে স্থানান্তরের জন্য বার বার বলছে।
এদিকে এ ব্যাপারে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামূর হকের সাথে ৪ দফা মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, আমি আক্রান্তদের প্রতি স্থানয়িদের ক্ষোভের বিষয়টি শুনেছি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে । আর স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নিয়মিত পরামর্শ ঔষধ দিয়ে যাচ্ছে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়