মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
আর মাত্র কিছুদিন পরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ( চাঁপাই সদর উপজেলা) বিএনপির পতনের ডংকা বাজছে অনেক আগে থেকেই। এ আসন থেকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সাবেক সাংসদ দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদকে। চাঁপাই সদরে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক চিত্র প্রকাশ পেতে শুরু করায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। আর এ তথ্য গুলো বিভিন্ন অপকর্মের ১৩ মামলার আসামি বিএনপি প্রার্থী হারুনুর রশিদের অতীত কৃতকর্মের। বিএনপির এ প্রার্থীর সম্পর্কে সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটালেন আবদুল ওয়াহেদ যিনি এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আব্দুল ওয়াহেদ ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি। আব্দুল ওয়াহেদ বলেন হারুনুর রশিদ এমপি থাকা অবস্থায় কোনো তৃণমূল নেতাকর্মীর খোঁজ রাখেননি। স্বজনপ্রীতি বজায় রেখে দলীয় পদ বাণিজ্যের সাথে লিপ্ত ছিলেন তিনি। তার কারণেই চাঁপাই সদর আসনের বিএনপি নেতা কর্মীরাও এখন ছন্নছাড়া। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নিবাসী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বলতেই আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে হারুন বাহিনীর কর্মকান্ড। সদর উপজেলাকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিণত করেছিল হারুনুর রশীদ। সে সময় তারই নির্দেশে এলাকায় প্রতি রাতেই বসত জুয়ার আসর ও অবাধে ঘটানো হত নানা ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিণত হয়েছিল মাদকের অভয়ারণ্য হিসেবে আর যার নেপথ্যে ছিলেন হারুনুর রশীদ। জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, কুকীর্তির রমরমা ইতিহাস থাকার পরেও যে দল সেই ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেয় তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের পরিস্থিতি কি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়