বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাংলাদেশের পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা। এই জেলার অনেকাংশ জুড়েই ভারতীয় সীমান্ত এলাকা। এই এলাকা গুলোতে অনেক ধরনের অবৈধ ব্যবসা হয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। যার ফলে এই এলাকাগুলোতে রাজনীতির প্রভাব থাকে চোখে পড়ার মতো। এইবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসন থেকে বিএনপির হয়ে লড়ছেন হারুনুর রশিদ। এই হারুনুর রশিদকে এই এলাকার তথা সমগ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষ চিনে এক নামে। ২০০১ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে তখন এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। ক্ষমতা পেয়ে নিজের আখের গুছাতে শুরু করেন তিনি। সরকারি বরাদ্দের টাকা নিজের একাউন্ট এ নিয়ে নেন তিনি। এইভাবে জনগণের হক মেরে খেয়ে ক্ষান্ত হননি তিনি। সীমান্ত জেলা হওয়ায় অবৈধ টাকার দিকে নজর দেন। শুরু করেন মাদক ব্যবসা। গড়ে তুলেন বিশাল নেটওয়ার্ক। ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল তার নেটওয়ার্ক দিয়েই এই দেশে ঢুকে পড়তো। আর এই নেশায় আসক্ত হতে শুরু করে তরুণ সমাজ। এর বিনিময়ে তার টাকার পাহাড় তৈরী হতে শুরু করে। সারাদেশে বিস্তৃত করে ফেলেন তার নেটওর্য়াক। সীমান্তবাহিনীকে তার এলাকায় ঠিকমতো কাজ করতে দিতেন না তিনি। পুলিশকে নিজের কবজায় নিয়ে নেন। এছাড়াও তিনি সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান শুরু করেন। দেশীয় গোবাদি পশু পালনকারীরা তখন লসের মুখ দেখতে শুরু করে। কিন্তু হারুনুর রশিদের ঠিকই লাভ হতে থাকে। এইভাবে ৫ বছরে তিনি কালোটাকার পাহাড় গড়ে তুলেন। যার ফল স্বরূপ গত ১০ বছর ধরে তার দল ক্ষমতায় নাই তবুও তার কোনো সমস্যা হয়নি।
এতো এতো টাকা তো গেল বিএনপির ক্ষমতার সময়। এর পর তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপিতে তার স্ত্রী কে নিয়ে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। কমিটিতে পদ পাওয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে এই অঞ্চলের প্রার্থীদের বিএনপির সমর্থন পেতে এই হারুনুর রশিদ কে দিতে হতো বিপুল পরিমান অর্থ। জেলা কমিটির অনেক সদস্য এই তথ্য জানলেও কেউ মুখ খুলেননি কখনো পদ হারানোর ভয়ে। এইসব কিছু মিলিয়ে কালোটাকার সম্রাট হয়ে উঠেছেন তিনি। আর এই মানুষ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে তার এই কালোটাকার সম্রাজ্যকে আরো বিস্তৃত করতে। জনগণ কখনোই এই মানুষকে জয়ী হতে দিবে না। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের দিন তাকে বর্জন করবে নৌকার জয় নিশ্চিত করে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়