বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২২
শ্রীলঙ্কার অবস্থা থেকে বাংলাদেশ বহু দূরে আছে। আর্থিক দুর্দশায় থাকা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশেকে নিয়ে একটি চক্র অপচেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সাথে তুলনা করা একটা দুঃখজনক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না।
বিদেশি ঋণের বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশের ঋণের একটি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। একটা দেশ দেউলিয়া হয় কখন, যখন সে তার ঋণ শোধ করতে পারে না। আমাদের যে ঋণ আছে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরও আমরা যদি ধরি তাহলে ঋণ পরিশোধে কোনো রকম কোনো একটা ইন্সটলমেন্ট ফেইল করার কোনো সম্ভাবনা আমাদের নাই।
আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত বিচার বিশ্লেষণ করে নেন। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার সুযোগ নেই। এটিই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা।
কোভিড-১৯ অভিঘাত কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়াতে চারটা বড় ইকোনমি। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ। চারটার তথ্য উপাত্ত যদি আপনারা দেখেন এখানে জিডিপিতে অবশ্যই ভারতের জিডিপি আমাদের চেয়ে বড়। দ্বিতীয় আমরা, তৃতীয় পাকিস্তান ও চতুর্থ শ্রীলঙ্কা।
“শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের জিডিপি যদি যোগ করা হয় বাংলাদেশের ডিজিপি তারচেয়ে বড়। বাংলাদেশ যে এক্সপোর্ট করে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান যে এক্সপোর্ট করে এ দুটোর যোগফলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্য হিসেবে, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার যে রিজার্ভ আছে, এদের দুটোকে যদি যোগ করেন তার ডবল আমাদের কাছে আছে। যারা শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করে তারা বাংলাদেশকে হেয় করে। কোনোভাবেই এটা তুলনা করার কোনো কারণ নাই।
শ্রীলঙ্কা যে ঋণ করেছে বিদেশ থেকে তার সুদের হার হলো গড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর বাংলাদেশ বিদেশ থেকে যে ঋণ করেছে তার সুদের হার হলো ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
এ সমস্ত জিনিস থেকে বলা যায় বাংলাদেশে সামষ্ঠিক অর্থনীতির যে অবস্থা সেটার সাথে শ্রীলংকা বা পাকিস্তান কারও সাথে তুলনা হয় না। বাংলাদেশ নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়