বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯
গর্ভকালীন বিশেষ করে শেষ তিন মাসে যখন শিশুর ওজন ক্রমে বাড়তে থাকে, তখন মায়ের পেটের আকৃতি বাড়তে থাকে। এ বাড়তি ওজন বহন করতে মায়ের মেরুদণ্ডের কোমরের মাংসপেশিগুলো বেশি সক্রিয় থাকতে হয়। পাশাপাশি গর্ভবতী পেটের বাড়তি ওজন বহন করে কিছুটা পেছনের দিকে বাঁকা হয়ে যায়। ফলে কোমরের মাংসপেশি ও স্পাইনাল লিগামেন্টগুলো দুর্বল হয়ে যায়। তখন ব্যথা অনুভূত হয়।
যেহেতু এ সময় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়, তাই সাধারণত মায়েরা ব্যথা সহ্য করে থাকেন। কিন্তু প্রসবপরবর্তীকালে এ ওভার অ্যাকটিভ মাংসপেশিগুলো আরও বেশি শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যথা আরও বেড়ে যায়। ফলে অনেকেই ধারণা করেন, সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকে ব্যথা শুরু। কিন্তু এ জন্য ইনজেকশন দায়ী নয়। কোমরের মাংসপেশি, লিগামেন্ট ও লাম্বার লাইনের স্বাভাবিক বক্রতা বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যথার সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বেশি উপকারী।
এ ক্ষেত্রে সুপারফিসিয়াল থার্মোথেরাপির পাশাপাশি কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়াম করতে হবে। যেমন-স্ট্যাটিক ব্যাক মাসল এক্সারসাইজ, পেলভিক ব্রিজিং এক্সারসাইজ ইত্যাদি, যা গর্ভকালীন কোমরের মাংসপেশির শক্তি বজায় রাখে এবং গর্ভকালীন কোমর ব্যথা অনেকাংশে কমায়। প্রসবপরবর্তী ফিজিওথেরাপিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোমর ও পেটের শিথিল হওয়া মাংসপেশিতে শক্তি বাড়াতে কিছু থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ করতে হবে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়