শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২
বাদামি রঙের ছাগল, নাম ‘বাদশা’। চার মাস বয়সে ৫০ হাজার টাকায় শিরোহী জাতের এই ছাগলটি কিনেছিলেন খামারের মালিক। আর অন্যটির নাম ‘রাজা’, এটিও শিরোহী জাতের। দুটোর মধ্যে বাদশার ওজন ১১০, আর রাজার ৭০ কেজি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিভা এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা মেলে এ দুটি ছাগলের। খামারের স্বত্বাধিকারী দুরুল ইসলাম, পেশায় চাকরিজীবী।
খামার মালিক দুরুল ইসলাম বলেন, চার মাস বয়সে বিদেশি শিরোহী জাতের এ ছাগলটি খামারে এনেছিলাম। শখ করে নাম রেখেছি বাদশা। ছাগলটির বয়স এখন প্রায় দুই বছর হতে চললো। দাঁতও গজিয়েছে ৬টি, উচ্চতা ৪০ ইঞ্চি। শেষবার যখন মেপেছিলাম, তখন ওজন ছিল ১১০ কেজি। এখন আরো বেশি হবে। ছাগলটিকে খামারের ব্রিডারের (পাঠা) জন্য রাখা হয়েছে।
বাদশার খোঁজ নিতে নিতে গিয়ে চোখে পড়লো রাজার। দুরুল ইসলাম জানান, রাজা নামের ছাগলটিও শিরোহী জাতের। ওজন কিন্তু কম নয়, ৭০ কেজিরও বেশি। এ ছাগলটি কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দাম ধরেছি ৪০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, কৃষি খামারের ওপর আগ্রহ থেকেই করেছেন একাধিক প্রজাতির খামার প্রতিষ্ঠা করেন দুরুল ইসলাম। খামারে শুরুতে কোয়েল পাখির ব্যবসা করে এলাকায় সাড়া ফেলেছিলেন বেশ। চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকায় তাকে কোয়েল পাখি আর টার্কি মুরগির ব্যবসা ছাড়তে হয়েছে।
দুরুল ইসলাম বলেন, ২০ বছর ধরে চাকরির পাশাপাশি শখ থেকেই পশু-পাখির ব্যবসা করি। শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রথম টার্কি মুরগি আর কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করি। বড় অঙ্কের টাকা খাটিয়ে লাভও হয়েছে বেশ। মাসে দুই-আড়াই লাখ কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করতাম। বাড়িতে এখন ছাগলের খামার আছে। দেশি-বিদেশি সব মিলিয়ে ৩০-৩৫টি ছাগল আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম বাদশা।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়