শিবগঞ্জে ভাল নেই বেদে সম্প্রদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০
‘আমরা বেদে/সাপুড়িয়া সম্প্রদায় ভাল নেই। নানা সমস্যায় জর্জরিত। আগে সাপ খেলা দেখিয়ে ও তাবিজ বিক্রি করে ভাল আয় করতে পারতাম। ঝোঁপ জঙ্গল বেশি ছিল। সাপও প্রচার পেতাম। মানুষও আগ্রহ সহকারে সাপ খেলা দেখতো ও তাবিজ কিনতো। ভালই থাকতাম।
পরিবার নিয়ে সংসার জীবনে সুখ ও শান্তিতেই ছিলাম। আমরা বিভিন্ন হাটবাজারে ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাপ খেলা দেখিয়ে যে আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলতো। আমাদের সেদিন ফুরিযে গেছে। এখন আমাদের বড়ই দুর্দিন চলছে।
অন্য কোনো কাজ করতে পারি না। কেউ আমাদের ডাকেও না। তারপর আবার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত গত মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন আর সাপ খেলাও দেখাতে পারি না। কোনো আয়ও হয় না।
দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস যাবত অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছি। একদিকে নিজের খাবার যোগাড় করতে পারি না। অন্যদিকে সাপের খাবার সংগ্রহও করতে হয়। ফলে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন অমরা নিরুপায়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বললেন শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চাকলা বেদেপাড়া গ্রামের মৃত জোহর উদ্দিনের ছেলে সেরাজুল ইসলাম (৬৫)।
শুধু সেরাজুল ইসলামই নয়, এ পাড়ার বেদে/সাপুড়িয়া সম্প্রদাযের প্রায় ৭/৮ পরিবারের ৫০ সদস্যের বসবাস। তারা সবাই সেরাজুল ইসলামের ভাই, সন্তান ও আত্মীয়স্বজন। তারা সবাই একইভাবে সাপের খেলা দেখিয়েই সংসার চালালেও একই কারণে তারা বর্তমানে সকলেই বেকার হয়ে পড়েছে।
সহযোগিতা পাওয়া বলতে সমাাজ সেবা অফিস থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ৪ জনের সুবিধাভোগীর কার্ড আছে এবং করোনা উপলক্ষে তিনটি পরিবার মাত্র একবার ১০ কেজি চাল পেয়েছে।
এনজিও থেকে নেয়া লোনের কিস্তি দিতে না পারায় এনজিও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধুমকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। সেরাজুল ইসলাম আরো জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বেদে বা সাপুড়িয়া ছিল না। আমি সর্বপ্রথম বেদে বা সাপুড়িয়া হয়েছি।
তিনি জানান, ছোট বেলা থেকেই সাপ খেলা দেখতে খুব ভালবাসতাম। এলাকায় বেদে বা সাপুড়িয়া আসলেই ছুটে যেতাম। সারাদিন খেলা দেখতাম।
এ সূত্র ধরেই নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সাপুড়িয়া জব্বারের সাথে পরিচয় হয়। প্রায় ৪৫ বছর আগে ২০ বছর বয়সে বাবার সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই।
প্রথমে আমরা পূর্ব হতে পরিচিত জব্বারের বাড়িতে গিয়ে উঠি। তার নিকট হতে ঠিকানা নিয়ে ঢাকা সাভারের সাপুড়িয়া/বেদে হামজার বাড়িতে উঠি। সেখানে গিয়ে আমি সাপুড়িয়া হওয়ার কথা ব্যক্ত করি। তখন থেকেই ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও থানায় হামজার সাথে থেকে সাপ খেলা দেখা, সাপ ধরা ও সাপকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রশিক্ষণ নিই।
প্রায় দুই বছর পরে বাড়ি ফিরে এসে বনে-জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে দোশলা, গহমা, পক্ষীরাজ, ড্যারোল, ভীমরাজ, গোখরা, বিষঝুড়ী, ধোধল, সুন্দরী, ম্যাইছা, বাতাচিতিসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ধরে প্রথমে বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে বাক্সে রাখতাম।
তিনি আরো জানান, সাপ ধরতে কোনো মন্ত্র লাগে না। হাতের কৌশল ও মনের সাহসই যথেষ্ট। তাছাড়া সাপের তাবিজ থাকলে সাপে কামড়াবে না বলে প্রচলিত থাকলে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।তবে কিছু গাছ আছে যা থেকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওষুধ আকারে খাওয়ালে বিষ নষ্ট হয়ে যায়। সাপকে বশ করার জন্য শুধু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। ভাল ভাল খাবার দিতে হয়।
সাপের প্রধান খাবার হলো ডিম, কলা, দুধ, মাংস, মাছ ও সোনা ব্যাংঙ। প্রথমে আমি এ পেশায় জড়িয়ে পড়লেও পরে আমি আমার, স্ত্রী, ছেলে সহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে প্রশিক্ষণ দিই।
ওই সময় সাপের খেলা দেখিয়ে ও সাপ ধরে বিক্রি করে ভাল আয় হতো। সবমিলিয়ে আমরা ৭/৮টি পরিবার এ পেশায় নিয়োজিত আছি। সাপড়িয়া/বেদে আকতার হোসেন জানান, চরম কষ্টে আছি।
একেতো আগের মত সাপের খেলা দেখার আগ্রহ মানুষের নেই। আগে অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবার সাপ খেলা দেখতে ও নিজ বাড়ির আশেপাশে সাপ ধরতে ডাকতো। ভাল বকশিস পেতাম। সব বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে হার্টের রোগী হয়ে সংসারে যা কিছু ছিল তার বিক্রি করে চিকিৎসা করাইয়েছি। এখন নিঃস্ব।
সাপুড়িয়া হেলাল উদ্দিন বলেন, সাপুড়িয়া হিসাবে সুন্দর বন সহ দেশের প্রত্যেক এলাকায় ঘুরেছি। সাপ ধরেছ্ িখেলা দেখাইয়েছি। প্রচুর আয় করেছি।
বর্তমানে নিঃস্ব অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। আয় না থাকায় নিজের স্ত্রীকে ও ছেলে মেয়ে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়েছি। শুধূ এ তিনজনই নয়। মাহিদুর, রুহুল আমিন ও সাকিবুল হক সবারই একই অবস্থা।
নাজমা বেগম, আইরিন বেগাম, সাজেদা বেগম, রিপা বেগম সহ আরো কয়েকজন সাপুড়িয়াদের গৃহিণী বলেন, আমাদের মত আর কেউ এতো কষ্টে আছে কি না আমাদের জানা নেই।
মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মোসা. খাদিজা খাতুন জানান, অভাবের তাড়নায় বাবা মা লেখাপড়ার খরচ দিতে না পারায় লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। আমি লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে চাই। আমি সরকারের সাহায্য কামনা করছি।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বলেন বেদে/সাপুড়িয়া সম্প্রদায়ের সংবাদ পেয়ে প্রতিটা পরিবারের প্রধানদের ্একটি করে সুবিধাভোগীর কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আগামীতে এদেরকে স্বাবলম্বী করার জন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্ত পক্ষের নিকট আবেদন করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বী বলেন, এটি আমার জানা ছিল না। জরুরি ভিত্তিতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ইনশআল্লাহ।
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন ইউপি চেয়ারম্যানরা
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
- মাদক হলো অপরাধের সিড়ি– রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার
- নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
- গোমস্তাপুরে উফশী ধানচাষে প্রনোদনা পাচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক
- চাঁপাইয়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি
- বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা:
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে ভস্ম
- শিবগঞ্জে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে তিনটি বাড়ি পুড়ে ভস্ম
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে পানির পরিবর্তে ওঠা তরলে জ্বলছে আগুন
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত নুহুর হাসপাতালে মৃত্যু
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ভোলাহাটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- নাচোলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- গোমস্তাপুরে মাদক বিক্রি ও সেবনের অপরাধে গ্রেফতার ১০
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- শিবগঞ্জে ১৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ভোলাহাটে মাল্টিপ্লাগে হাত লেগে নারীর মৃত্যু
- নাচোলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ
- ভোলাহাটে জয়ীতাদের জীবন জয়
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- চাঁপাইয়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- আমের রাজধানী চাঁপাইয়ে আমগাছ কাটার হিড়িক
- চাঁপাইয়ে পুকুরের ধারে ৩২টি বাচ্চাসহ রাসেল ভাইপার
- আমের রাজধানী চাঁপাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে সৌদির খেজুর চাষ
- ৪২ মণ ওজনের ‘চাঁপাই সম্রাটের’ দাম ৩০ লাখ, খায় আম-কলা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিরল প্রজাতির নীলগাই আটক
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফজলি ও আশ্বিনায় জমেছে আমের বাজার
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল্লাহ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে গৌড়মতি আমে নতুন সম্ভাবনা, মণ ১২ হাজার
- বাবার সাথে কৃষিকাজ করেই রাবির সি ইউনিটে প্রথম গোমস্তাপুরের মিটুল
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বদলে যাচ্ছে আশ্বিনা আমের স্বাদ, বাড়ছে চাহিদা
- শিবগঞ্জের কানসাটে ৫২ কেজিতে আমের মণ!
- গোমস্তাপুরে অসময়ে গাছে গাছে ঝুলছে পাকা আম
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০ বছর পর আমের দামে স্বস্তি বাগানি ও ব্যবসায়ীরা
- বিশ্বসেরা বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় শিবগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. সফিউর
- শিবগঞ্জে আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে আম চাষ, ফলন হবে ৩ গুণ