রোগ নির্মূল আর নিয়ন্ত্রণে সাফল্য বাংলাদেশের
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
৫০ বছরে বাংলাদেশ রোগ নির্মূল এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশে কলেরা, ডায়রিয়া, গুটিবসন্ত, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, টাইফয়েড, কালাজ্বর, কুষ্ঠ, জলাতঙ্ক, ধনুষ্টংকার, হামের প্রকোপ ছিল। এসব রোগে একসময় বহু মানুষের মৃত্যু হতো, এখন আর তা হয় না। একসময় যে রোগ সারা দেশে দেখা যেত, এখন তা দেখা যাছে একটি বা দুটি জেলায়। সরকারের নীতি, কর্মপরিকল্পনা, প্রকল্প, সরকারি-বেসরকারি নিবেদিতপ্রাণ মাঠকর্মী এবং জনসচেতনতার কারণে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
কলেরা বা ডায়রিয়াজনিত রোগ একসময় মহামারি আকারে দেখা দিত। কিন্তু আজকাল কলেরা বা ডায়রিয়ায় মানুষের মৃত্যুর খবর খুব একটা শোনা যায় না। ডায়রিয়া হলে কী করতে হবে, মানুষ জানে। আরও অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে।
পুরোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সাফল্য দেখিয়েছে। আবার সোয়াইনফ্লু, বার্ডফ্লু, নিপাহ ভাইরাসের মতো নতুন রোগের প্রকোপ দেখা দিলে তা দ্রুততার সঙ্গে শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা স্বাস্থ্য বিভাগের আছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে হাতে হাত ধরে মহামারির সঙ্গে যুদ্ধ করছে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের সঠিক নীতি ও পরিকল্পনার কারণে অনেক রোগ নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারের যেকোনো উদ্যোগকে সফল করতে মানুষ সহায়তা করেছে। সব সময় পাশে থেকেছে উন্নয়ন–সহযোগীরা।
বসন্ত ও পোলিও মুক্ত
গুটিবসন্ত একসময় বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ছিল। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত নির্মূলের উদ্যোগ নেয়। এই উদ্দেশ্যে ১৯৬৬ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কর্মসূচিও হাতে নেয়।
অবশ্য বৈশ্বিক কর্মসূচির আগে ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) গুটিবসন্তের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গুটিবসন্ত নির্মূল কর্মসূচি জোরদার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল যথাক্রমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্মলপক্স ইরাডিকেশন প্রোগ্রাম এবং যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রথমার যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিতব্য স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বইয়ে বলা হয়েছে, ১ কোটি ১০ লাখ পরিবারে গিয়ে রোগী শনাক্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ জন্য ১২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রত্যেকের দায়িত্বে ছিল ১ হাজার পরিবারে খোঁজ নেওয়ার। এই সময় ৯২ শতাংশ গ্রাম অনুসন্ধানের আওতায় এসেছিল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে দেশে ২ লাখ ২৫ হাজার গুটিবসন্তের রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে মারা যায় ৪৫ হাজার।
বাংলাদেশে শেষ গুটিবসন্তের রোগী ছিলেন ভোলার রহিমা বানু। ১৯৭৫ সালের ১৬ অক্টোবর তাঁর গুটিবসন্ত শনাক্ত হয়। এরপর দেশে গুটিবসন্তের আর কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশকে গুটিবসন্তমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
গুটিবসন্তের মতো পোলিও একসময় বাংলাদেশে গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ছিল। পোলিও নির্মূলে দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম জোরদার করে সরকার। ২০০৬ সালে দেশে সবশেষ পোলিও রোগী শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে।
নিয়ন্ত্রণে বা নির্মূলের কাছাকাছি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ফাইলেরিয়া বা গোদরোগ, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, কুষ্ঠ, জলাতঙ্ক—এসব রোগ এখন নিয়ন্ত্রণে বা নির্মূলের কাছাকাছি চলে এসেছে বাংলাদেশ।
একসময় ৬৪ জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থাকলেও এখন আর তা নেই। গত দুই দশকে দ্রুত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমে আসতে দেখা গেছে। ম্যালেরিয়া এখন মূলত তিন পার্বত্য জেলাতেই সীমাবদ্ধ। সরকারি হিসাবে, ২০২০ সালে দেশে ম্যালেরিয়ার রোগী ছিল ৬ হাজার ১৩০ জন। এর মধ্যে মারা যায় ৯ জন। ম্যালেরিয়ার জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল হওয়ার কথা।
একইভাবে সাফল্য এসেছে কালাজ্বর নির্মূলের ক্ষেত্রে। ২০১৭ সালের মধ্যে দেশ থেকে কালাজ্বর নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালেই সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়।
একসময় দেশের ১৯টি জেলায় ফাইলেরিয়া বা গোদরোগের প্রকোপ ছিল। বর্তমানে রংপুর ছাড়া অন্য সব জেলা ফাইলেরিয়ামুক্ত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যত কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে। ২০০৮ সালে ৫ হাজার ২৪৯ জন কুষ্ঠরোগী শনাক্ত হয়েছিল। ২০১৭ সালে তা কমে ৩ হাজার ৭৫৪ জনে দাঁড়ায়।সরকারের সঠিক নীতি ও পরিকল্পনার কারণে অনেক রোগ নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারের যেকোনো উদ্যোগকে সফল করতে মানুষ সহায়তা করেছে।
অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা
কুকুরকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুও কমেছে।
এসব রোগের প্রকোপ যেসব এলাকায় বেশি ছিল, সেখানে পাঁচ দশক ধরে অবহিতকরণ সভা, উঠান বৈঠক, গোলটেবিল বৈঠক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, পোস্টার, প্রচারপত্র, স্টিকার, বর্ষপঞ্জিকা, মাইকিংয়ের মাধ্যমে সরকার মানুষকে তথ্য ও বার্তা দিয়েছে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রে জাতীয় কর্মসূচি ছিল বা আছে। এই কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে দেশব্যাপী জালের মতো বিছানো স্বাস্থ্য অবকাঠামো। আর প্রতিটি কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন বা আছেন নিবেদিতপ্রাণ স্বাস্থ্যকর্মীরা। রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জনসচেতনতা রোগনিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে বড় ভূমিকা রেখেছে।
- দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটান রাজা
- কূপ খননে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রান্সফরমার চুরি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র–গুলিসহ যুবক গ্রেপ্তার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
- গোমস্তাপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু
- যেভাবে ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব বলে জানালো ব্যবসায়ী সমিতি
- ‘শূন্যের বৃত্ত’ থেকে বের হলো বে-টার্মিনাল প্রকল্প
- বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত
- স্বাধীনতা দিবসে ভারত রাশিয়া ও চীনের শুভেচ্ছা
- ঈদযাত্রায় এবার স্বস্তির আশা
- চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- টিকিট কালোবাজারি বন্ধে জিরো টলারেন্স: রেলমন্ত্রী
- প্রশিক্ষণে আসবেন ভুটানের ডাক্তার-নার্স
- অসাম্প্রদায়িক মানবিক ও স্মার্ট দেশ গড়ার প্রত্যয়
- যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারে মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ব
- শিবগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় বোনের মৃত্যু
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক বিক্রয় ও সেবন করার অপরাধে ৩ জন আটক
- নিজেই নাটক নির্মান করছেন ভোলাহাটের ছেলে তৌহিদ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরি করে যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন তারা
- জনপ্রতি ফিতরা নির্ধারণ, সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
- ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
- ভোলাহাটে উচ্চ মূল্যের চিয়া সীড চাষ
- এক দিন ছুটি নিলেই ঈদে কাটাতে পারবেন ১০ দিন
- বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল শনাক্ত করতে পারবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি
- ৮ বিভাগেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- রোজার কাফফারা কী ও কিভাবে
- টিসিবি কার্ডে জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে স্মার্ট কার্ড
- যে ৯ সময়ে নিশ্চিত দোয়া কবুল হয়
- বাংলাদেশ সরাসরি চীনের সঙ্গে লেনদেনে যাচ্ছে
- স্কুল-কলেজের সভাপতিকে এইচএসসি পাস হতে হবে
- নিয়োগ হতে পারে লক্ষাধিক শিক্ষক, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই
- নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টায় মালিকপক্ষ
- অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন নয়
- ৫০-এর কম শিক্ষার্থী হলে পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত
- কনডম ব্যবহারে দশ ভুল
- বাসায় থেকেই সুস্থ হতে পারে করোনা রোগী: ডা. আতিয়ার
- গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু! … তারপরই ম্যাজিক!
- মাইগ্রেনের ওষুধ যৌন মিলন: গবেষণা
- নতুন চুল গজাতে পেয়ারা পাতার জাদুকরী গুণ
- প্রতিদিন খালিপেটে কারিপাতা খেলে যত উপকার
- দিনে ১টি পেয়ারা খেলে কী হয়?
- ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল
- অন্যের মাথার হেলমেট ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- করোনায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন বাড়ায় মৃত্যুঝুঁকি
- ‘করোনার টিকা’ নিলে পাবেন ৬৫ হাজার টাকা!
- নিমের ১০টি ওষধিগুণ
- নিঃশ্বাসের মাধ্যমেই হবে ক্যান্সার শনাক্ত
- কোমর ব্যথায় করণীয়
- চাপাইনবাবগঞ্জে সরকারের অনন্য অবদান ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল