শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আবেদন করেছিলেন। তার সেই আবেদন খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তার দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকছে না। এদিকে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) কারাসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, কেরানীগঞ্জের কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ রয়েছে। এখানে এখন পর্যন্ত কারও ফাঁসি কার্যকর করা হয়নি।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদ। দীর্ঘদিন তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন।
বুধবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ফাঁসির পরোয়ানা ইস্যু করেন। পরোয়ানা জারির আগে তাকে রায় পড়ে শোনানো হয়। এরপরই তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে খুন হন। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়। তাঁরা হলেন কারাগারে থাকা আসামি মেজর বজলুল হুদা, আর্টিলারি মুহিউদ্দিন, লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার মহিউদ্দিন আহমেদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি পলাতক থাকেন। তাঁরা হলেন খন্দকার আবদুর রশিদ, রিসালদার মোসলেমউদ্দিন, শরিফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, আবদুল আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। আজিজ পাশা ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সবাইকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে হত্যা করা হয়। কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন। এর মধ্যে ক্যাপ্টেন মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের অন্যতম একজন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মাজেদকে সেনেগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে তৃতীয় সচিব পদে চাকরি দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সরকার।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়