শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
ভোলা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এসময় আওয়ামী লীগের ছয়টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও পাঁচটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। রোববার সকালে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটে আসেন। সেসময় লঞ্চঘাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ চলছিল।
এসময় বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এসময় ২০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয় এবং উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ছয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ও ৫টি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতরদেরকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী দীর্ঘদিন পর এলাকায় আসায় শান্তির জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছে। তিনি কয়েক শত বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন। বোরহানউদ্দিন আসার আগেই দৌলতখানে লঞ্চ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তবে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুনেছেন বোরহানউদ্দিনে নেতাকর্মীরা লঞ্চঘাটে জড়ো হলে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় ১২ জন আহত হয়েছেন। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি অসীম কুমার শিকদার জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়