ভুল নীতিতে ডুবছে পাকিস্তান, সঠিক নীতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২১
দুর্নীতি ও পারিবারিক রাজনীতির জন্য যতটা না ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে ভুল নীতির জন্য। পরিণামে পাকিস্তানের অর্থনীতি একরকম স্থবির হয়ে আছে, যদিও প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারত তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ নিয়াজ মুর্তজা সম্প্রতি দ্য ডন পত্রিকায় লিখিত এক নিবন্ধে এসব কথা বলেছেন।
নিবন্ধে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান তরুণ জনগোষ্ঠীর বাস্তবতায় প্রবৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু চলতি একবিংশ শতকে মাত্র দুবার পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে আবার মূল্যস্ফীতির হার গত ১২ বছরে ৬-৭-এর ঘরেই আছে। তাতে গরিবদের দুঃখ কেবল বাড়ছে।
বিকাশমান অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে শিল্পকারখানা। কিন্তু পাকিস্তান বড়ই দুর্ভাগা, দেশটির শিল্প খাত কয়েক দশক ধরেই জিডিপির ২০ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। এর মধ্যে অবশ্য সেবা খাতের পরিসর ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অথচ অনেক গরিব দেশ রপ্তানির বদৌলতে এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের রপ্তানি ২০০৩ সালে যেখানে জিডিপির ১৫ শতাংশ ছিল, এখন তা নেমে এসেছে ১০ শতাংশে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও কমেছে—জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে তা নেমে এসেছে ১ শতাংশে।
পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
নিয়াজ মুর্তজা বলছেন, পাকিস্তানে এফডিআই আসে বড় শক্তির লেজুড় হয়ে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। যার সঙ্গে যখন সম্পর্ক ভালো, তখন তার হাত ধরেই আসে বিনিয়োগ। কিন্তু প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশে তেমনটা হয় না। সেখানে সরাসরি বিনিয়োগ আসে। এ ছাড়া ২০০০ সালের পর পাকিস্তানে যত এফডিআই এসেছে তার ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে অ-রপ্তানি খাতে, যেখান থেকে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় না। সামগ্রিকভাবে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ কমেছে। পাকিস্তানে ২০০৫-০৬ সালে যা ছিল জিডিপির ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, এখন তা নেমে এসেছে ১৩ শতাংশে। কিন্তু দেশটিতে সামগ্রিক ভোগের পরিমাণ জিডিপির ৭৫ শতাংশ, এশিয়ার টাইগার খ্যাত দেশগুলোতেও যা এত বেশি নয়।
রাজস্ব ঘাটতিও দিনকে দিন বাড়ছে পাকিস্তানে। চলতি শতকে দেশটিতে মাত্র তিনবার চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থেকেছে, যদিও ঘাটতি জিডিপির ৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে ছয়বার। তবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের কল্যাণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি অতটা বাড়বাড়ন্ত হয়নি, ২০০০ সালে যা ছিল জিডিপির ২ শতাংশের কম, এখন যা ৮ শতাংশে উঠে এসেছে। কিন্তু রেমিট্যান্স ও এফডিআই তো আর এক জিনিস নয়। এফডিআই এলে রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়, যেখানে রেমিট্যান্স মূলত ভোগেই ব্যয় হয়। আর তাতে বোঝা যায়, পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে বড় পরিবার ভেঙে পড়ছে।
প্রতিবছরই পাকিস্তানে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। ২০০০ সালের পর প্রায় প্রতিবছরই তা জিডিপির ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৯০-এর দশকে ট্যাক্স-জিডিপির অনুপাত ছিল ১৩ শতাংশ, এখন যা নেমে এসেছে ১০ শতাংশে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যয় জিডিপির ৩ থেকে ১ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। ঋণের দায় মেটাতে প্রতিবছর বড় অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা বাজেট কিছুটা কমেছে, তবে এখনো বিশ্বের সর্বোচ্চ বরাদ্দের কাতারে আছে। ২০১০ সালে সরকারি ঋণ ছিল জিডিপির ৬০ শতাংশের মতো, এখন যা ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কেন পারল না পাকিস্তান
লেখক বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মতো একই ইতিহাসের উত্তরাধিকারী হয়ে পাকিস্তান কেন পারল না, তার কারণ হিসেবে অনেকে হয়তো দুর্নীতি ও বংশগত রাজনীতির কথা বলবেন, কিন্তু ভারত-বাংলাদেশেও এই ধারা আছে। সে জন্য লেখক মনে করেন, ভুল নীতির কারণেই পাকিস্তানের আজ এই দুর্দশা। ভালো নীতি যে হয় না তা নয়, কিন্তু সেগুলোতে ধুলার আস্তরণ পড়ে যায়। বাংলাদেশ-ভারতে যার অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়। তাই লেখকের অভিমত, পাকিস্তানের সমাজ, সরকার ও বেসরকারি খাতের সামগ্রিক অদক্ষতাই প্রধান সমস্যা।
গভীর রাষ্ট্রের করতলগত হয়ে নিরাপত্তা রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠাই সব নষ্টের গোড়া। এতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়েছে। বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন, এমন নজির বেশি নেই। সাবেক সেনাশাসক জিয়াউল হক রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টির অপচেষ্টায় এই ধারার সূত্রপাত করেন। মৌলবাদের বিস্তার আরেকটি বড় কারণ।
এ ছাড়া লেখক বলছেন, পাকিস্তানের সেনা উদ্যোগগুলোর মতো বেসরকারি উদ্যোগগুলোও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভাবনের প্রয়োজন পড়ে না তাদের। তাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক বিকাশ। সে জন্য এখন বলা হচ্ছে, পাকিস্তানকে ভূ-নিরাপত্তা থেকে ভূ-অর্থনীতিতে যেতে হবে।
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার যানবাহনের টোল মওকুফ বঙ্গবন্ধু টানেলে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- ভোলাহাটে মাল্টিপ্লাগে হাত লেগে নারীর মৃত্যু
- নাচোলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
- নাচোলে প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- ভোলাহাটে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- ভোলাহাটে জয়ীতাদের জীবন জয়
- ভোলাহাটে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনা সভা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ , বাতিল ১
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- শিবগঞ্জে সড়কে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ঈদ আনন্দ, জরিমানা
- গোমস্তাপুরে তরুণীকে মারধরের ঘটনায় আটক ৩
- হাওরে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা
- দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
- ঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুভ নববর্ষ উদযাপন
- ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের দিনে সড়কে দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলন্ত যানবাহন এ-পাঠাগার উদ্বোধন
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলায় ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- চালের বস্তায় লিখতে হবে মূল্য-জাত
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- দুদিন বন্ধের পর আজ থেকে মেট্রোরেল চালু
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ