শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৭ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২১
বারোমাসি আম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে তাক লাগিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম। তিনি ১২ বিঘা জমি লিজ নিয়ে উৎপাদন করছেন বিভিন্ন ধরনের বারোমাসি সুস্বাদু আম। শীত মৌসুমেও তার বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন জাতের আম। সঙ্গে মুকুলের সমারোহ।
এই আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সিরাজুল ইসলাম জানান, গতবছর এ ধরনের বিভিন্ন আম চাষ করে তিন মাসে আয় করেছেন প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি।
সিরাজুল ইসলামের বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে। সরেজমিন আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় দুই হাজার গাছে ঝুলছে বিভিন্ন জাতের সুস্বাদু আম। এতে রয়েছে কাটিমন, বারি-১১ ও আশ্বিনাসহ বিভিন্ন ধরনের বারোমাসি আম।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ বছর আগে মাথায় চিন্তা এসেছিল মানুষ বারোমাস আম খেতে পাই না কেন? এরপর যেই চিন্তা সেই কাজ। ২০১৯ সালের জুন মাসে ১২ বিঘা আম্রপালির গাছসহ জমি কিনি।
তারপর গাছগুলোকে কলমের মাধ্যমে বারি-১১,আশ্বিনা ও কাটিমন গাছে রূপান্তর করে পরিচর্যা করতে থাকি। আগস্ট মাসে দেখি প্রায় গাছেই মুকুল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু গাছগুলো বড় করার জন্য মুকুলগুলো ভেঙে দিই।’
পরের বছর ২০২০ সালে প্রচুর মুকুল আসে। ডিসেম্বরে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মণ দরে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার আম বিক্রি করেন সিরাজুল। আম উৎপাদনে খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা। ফলে লাভ হয় তিন লাখ টাকা।
এবছরও গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। আর এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় সাত লাখ টাকা। চলতি মাস থেকে আম বিক্রি শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৭২ হাজার টাকার আম বেচেছেন সিরাজুল ইসলাম।
তবে এ বছর আমের দাম কম বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘গতবছর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মণ দরে আম বিক্রি করলেও এবার বিক্রি করতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। তারপরও আশা করছি বড় বিপদ না হলে এবারও ১৫ লাখের বেশি টাকা পাবো।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাগানে বারি-১১ আমই বেশি। এ জাতের একটি আমগাছে ৬০ থেকে ৬৫টি আম ধরে। যা আনুমানিক ২০ কেজি পর্যন্ত হয়। অর্থাৎ একটি আমের পরিমাণ ৩৫০-৭৫০ গ্রাম হয়ে থাকে।’
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, এ উপজেলায় মোট ছয় হেক্টর জমিতে বাবোমাসি আম চাষ হয়। বর্তমান এখন বিভিন্ন জাতের গাছেই আম রয়েছে। যেমন বারি-১১, স্যান্ডি, কাটিমন ও আশ্বিনা ইত্যাদি।
তবে বারোমাসি আম যারা চাষ করেন তারা সবাই প্রায় সৌখিন মানুষ ও স্বাবলম্বী। তাদের তেমন সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। তারপরও আমরা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়