বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০
হবিগঞ্জে গত ১ মার্চ থেকে প্রবাসফেরত এর সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৫ জন। প্রশাসন ইতিমধ্যে ১ হাজার ৯৩ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে। তবে ইমিগ্রেশন থেকে যে তালিকা প্রদান করা হয়েছে তাতে অনেকের ঠিকানা শুধু হবিগঞ্জ লেখায় সবাইকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করছে। স্থানীয় লোকজন ও প্রবাসী পেলে প্রশাসনকে খবর দিচ্ছে। অনেক স্থানে স্থানীয় লোকজন প্রবাসীদেরকে বাধ্য করছে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের প্রবেশ নিষেধ বলে সাইনবোর্ড ঝোলানো হচ্ছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে হবিগঞ্জের ৯ উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনও করছে তারা।
শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেজর আরিফ উজ-জামানের নেতত্বে সেনাবাহিনীর একটি পেট্রল দল জেলার চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেজর আরিফ উজ-জামান বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারি আকারে রূপ নিচ্ছে। এই সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য হবিগঞ্জের গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি বিদেশফেরতরা যেন নির্দিষ্ট সময় হোমকোয়ারেন্টিনে থাকেন সেই বিষয়টি নিশ্চিতের ব্যাপারেও তৎপর রয়েছেন তারা।
এদিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আসাবুর রহমান জীবন অভিযোগ করে জানান, তিনি ৮ বছর যাবত দেশে আসেননি। তার পরিবারের সবাই লন্ডনে আছেন। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গিয়ে তার বাড়ি তল্লাশি করে।
তিনি জানান, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। আগে প্রবাসীরা দেশে আসলে সবাই এসে সম্মান করত। এখন প্রবাসীদেরকে কেন হয়রানি করা হচ্ছে।
হবিগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, যে কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়