বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) এর কৃষি প্রকৌশল বিভাগ ও বিনা উপকেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত গবেষণার অংশ হিসেবে উক্ত মাঠ দিবস মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় প্রধান ও প্রকল্পের প্রধান গবেষক কৃষি প্রকৌশলী ড. মো. হোসেন আলীর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিনা’র পরিচালক (গবেষণা) ড. হোসনে আরা বেগম। রবি মৌসুমে সরিষা, মসুর ও গম চাষ করা হচ্ছে। অত্র মাঠ দিবসে বিনাসরিষা-১০ প্রদর্শন করা হয়েছে। বর্তমান রবি মৌসুমের ফসল কর্তন করা হলে দুই বৎসরের গবেষণা সম্পন্ন হবে।
উক্ত প্রকল্পের প্রধান গবেষক বলেন যে,প্রথম বৎসরের ফলাফল থেকে লক্ষ্য করা যায়, বোরো ধানের পরিবর্তে রবি ফসল সরিষা,মসুর ও গম এবং আউশ ধান চাষ করলে সেচের পানির পরিমাণ কম লাগে আবার বছরান্তে মোট ফলন বেশি হয়, এবং নেট মুনাফাও বেশী হয়। ”সরিষা কাটার পর কিছুটা দেরীতে রোপনের উপযোগী ধান রয়েছে “বিনাধান-১৪” যার ফলন তুলনামুলক বেশি।
গবেষকবৃন্দ আরও জানান যে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নীচের দিকে নেমে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় যে পরিমাণ পানি পাম্পের সাহায্যে উত্তোলন হচ্ছে- সেই পরিমাণ পানি ভূ-গর্ভ স্তরে পুনরায় ভরাট বা রিচার্জ হচ্ছে না। ফলে ভবিষ্যতে পানির অভাবে পরিবেশের বিপর্যয় হতে পারে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে এমন এক সময় আসবে সেই সময় গভীর নলকূপের সাহায্যেও আর পানি পাওয়া যাবে না। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের/বাঁচার জন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ বংশধরদের কথা চিন্তা করে আমাদের এমনভাবে পানি উত্তোলন করতে হবে- যেন পানির স্তর বেশি নীচে চলে না যায়। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বোরো ধানের পরিবর্তে রবি বা রবি-আউশ শস্য চাষ করলে ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পদের দীর্ঘস্থায়ী ভারসাম্য বজায় থাকবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন বিনা উপকেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সহকারী প্রধান গবেষক কৃষি প্রকৌশলী ড. মো. হাসানুজ্জামান, নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার, মোঃ বুলবুল আহমেদ, বিএমডিএ এর সহকারী প্রকৌশলী সাহ মোঃ মুঞ্জুরুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এবং পরীক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
স/সা
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়