শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের বেনীপুর সুকতলা গ্রামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হলেও স্বজনরা পুলিশকে না জানিয়ে পোস্ট মর্টেম ছাড়াই দাফন করেন। কিন্তু দাফনের ৩দিন পর মৃতের ছেলে সুমন এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি তুলেছেন। নিহতের ছেলে সুমন জানান,উপজেলার বেনীপুর সুকতলা গ্রামের মৃত-জোহাক আলীর ছেলে তোজাম্মেল হক তজলু(৫০) গত রবিবার নিখোঁজ হন। পরদিন সোমবার সকালে ভেরেন্ডী বাজারের গ্রামীন টাওয়ারের পাশে একটি পরিত্যাক্ত রিংপাটের মধ্য থেকে তোজাম্মেল হক তজলুর লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম(ময়না তদন্ত) ছাড়াই দাফন করেন স্বজনরা। কিন্তু দাফনের ৩দিন পর মৃতের ছেলে সুমন দাবি করছেন যে কে বা কারা তার পিতাকে হত্যা করে লাশ ওই পরিত্যক্ত রিংপাটে ফেলে রাখেছিল। মৃতের ছেলে সুমন জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর তার বাবা নিখোজ হন এবং সোমবার সকালে বেনীপুর গ্রামের মৃত মোসাহাক আলীর ছেলে কুড়ান তাদেরকে খবর দেয় যে, তার পিতা ভেরেন্ডী বাজারের গ্রামীন টাওয়ারের পাশে একটি পরিত্যাক্ত রিংপাটের মধ্যে পড়ে আছে। খবর পেয়ে কুড়ানসহ মৃতের স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলামকে অবহিত করেন এবং পারিবারিক ভাবে তাকে দাফন করেন। দাফনের পূর্বে ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম মৃতের স্ত্রী আক্তারা বেগমসহ পরিবারের সকলের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। এবিষয়ে ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম জানান, মৃতের পরিবারের সকলের সম্মতিতে তজলুকে দাফন করা হয়। ওই দিন বিকেলে নাচোল থানার এস আই সোহেল বিকেল ৪ টার সময় মৃতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে কিনা এবিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
ঘটনার ৩দিন পর পরিবারের ধারনা তজলুকে হত্য করে কে বা কারা রিং পাটের মধ্যে ফেলে রেখেছিলো। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মৃতের ছেলে সুমন আতœীয় স্বজনকে নিয়ে নাচোল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে ওসি সেলিম রেজা মামলাটি কোর্টে করার পরামর্শদেন। মৃতের ছেলে জানান, তার পিতার বাম পা ও বাম হাত ভাংগা ছিলো সেই সাথে ঠোট কাটা এবং দাঁতও ভাংগা ছিলো। এ বিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন. নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানাননি, তবে ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন নেশা খেয়ে তোজাম্মেল হক তজলুর মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু থানাপুলিশকে না জানিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। সেহেতু হত্যা মামলা আদালতে করার পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে ইউপি সদস্য মোমিনুল ইসলামের অতি উৎসাহিত হয়ে নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া, নিহত ব্যক্তিকে নেশাখোর বলে চিহ্নিত করা ও নিহত ব্যক্তির হাত-পা ভাঙা এবং ঠোট কাটার বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তাই তার স্বজনরা এটিকে রহস্যজনক হত্যা বলে দাবি করেছেন।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়