জলবায়ু নিয়ে ‘সারশূন্য’ প্রতিশ্রুতি নয়, দরকার বৈশ্বিক পরিকল্পনা
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২১
উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জরুরি সহায়তার প্রয়োজনকে ‘গুরুত্ব দিচ্ছে না’ মন্তব্য করে বিশ্ব নেতাদের ‘সারশূন্য’ প্রতিশ্রুতি না দিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্র ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিকল্পনা’ প্রণয়নে ধনী দেশগুলোর ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিবন্ধে শেখ হাসিনা লিখেছেন, “আমাদের সময়ের অপ্রিয় সত্য হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর পদক্ষেপ যখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে এবং সেটা সম্ভবও, সেই সময়ও দেশগুলো তাদের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ যথেষ্ট দ্রুত কমিয়ে আনছে না, যাতে আমার দেশের মত দেশগুলো নিরাপদ থাকতে পারে।”
চলতি মাসের শেষে গ্লাসগোতে বসছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন- কপ-২৬, তার ঠিক আগে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার এ আহ্বান এল।
২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে চুক্তিবদ্ধ হন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যেন না হতে পারে, সেজন্য নিঃসরণের মাত্রা সম্মিলিতভাবে কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করা হয় সেই চুক্তিতে।
সেই লক্ষ্যে কোন দেশ কতটা কী করল, তা পাঁচ বছর পর পর জানানোর কথাও ওই চুক্তিতে ছিল। কোভিড মহামারীর কারণে এক বছর পিছিয়ে গিয়ে এবারের সম্মেলকে সেসব পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি জমা হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা লিখেছেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষ প্রতিবছর হিমালয়ের বরফজমা স্বাদু পানির ওপর নির্ভর করে, কিন্তু উষ্ণতা বাড়ায় সেখানকার পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি প্রকট হয়ে উঠেছে। সেখানে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়া হবে আরেকটি ধ্বংসাত্মক পরিবর্তন।
“বাংলাদেশ যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে, তাতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আমাদের খুব সামান্যই দায়ী করা যেতে পারে। তারপরও আমরা এর সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা কেবল এই কারণে নয় যে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাবকে এড়াতে চাই; এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ও আছে। কার্বন-শূন্য উৎপাদনে বিনিয়োগের মাধ্যমে পুরো অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান তৈরি করাই সর্বোত্তম পন্থা এবং এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের সমৃদ্ধিও নিশ্চত হতে পারে।”
শেখ হাসিনা লিখেছেন, অন্য কোনো দেশের সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশ এই পরিকল্পনা বাস্তবয়ন করতে পারে।তবে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন এই বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে পারে।
“কিন্তু প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে যা প্রয়োজন, সেটা হলে, আমাদের (বাংলাদেশ) জলবায়ু সমৃদ্ধির পরিকল্পনার একটি আন্তর্জাতিক সংস্করণ।”
আর এ বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৬ সম্মেলনকে সেই পরিকল্পনা তৈরির ‘সবচেয়ে সেরা সুযোগ’ বলে মনে করলেও তার সম্ভাবনা নিয়ে কিছুটা সংশয়ও প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর লেখায়।
তিনি লিখেছেন, “কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তিন দশক আগে রিও আর্থ সামিটে উন্নত দেশগুলো পৃথিবীকে জলবায়ু এবং পরিবেশ সঙ্কট থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তারা সম্মিলিতভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়েছে সাত ভাগের এক ভাগেরও কম। এটাতো নেতৃত্ব না।”
“সবচেয়ে দ্রত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রয়োজনকেও তারা কখনও গুরুত্বের সঙ্গে নিচে চায়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লোকসান এবং ক্ষতির মুখে পড়া সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নের খবর নেই। যদিও সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যরা কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নীতি তারা নেয়নি, যা থাকলে ভরসা পাওয়া যেতে যে প্রতিশ্রুতি তারা সত্যিই পূরণ করতে যাচ্ছে। জলবায়ু তহবিলে প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তারা ১২ বছরেও পূরণ করেনি।”
শেখ হাসিনা লিখেছেন, কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে যে পরিমাণ অর্থ দরকার, সেই তুলনায় এই ১০ বিলিয়ন ডলার খুবই সামান্য। সরকারি-বেসরকারি দুই দিক থেকেই এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ আছে, কিন্তু কোভিড সম্পর্কিত দেনায় মধ্যে সেটা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
“উন্নত দেশগুলো যদি সত্যিই সহায়তা করতে চায়, তাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। তহবিলের খরচ কমিয়ে আনলে বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলোতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে, যাতে সারা বিশ্বই লাভবান হবে।
“পশ্চিমা নেতারা যদি এই যুক্তিটা ধরতে না পারেন, নিজেদের ঘরের উদাহরণই তাদের সেটা বুঝতে সহায়তা করতে পারে। উত্তর আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় চরম দাবানল কিংবা জার্মানির ভয়াবহ বন্যা- এসব কি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ীদের অঞ্চলে বেজে ওঠা সতর্ক ঘণ্টা নয়?”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, রক্ত আর বেদনায় জর্জরিত সেই জন্ম।
“আমার বাবা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার স্মরণে আমরা আমাদের জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার নাম দিয়েছি মুজিব পরিকল্পনা। তার সময়ে তিনি যেসব সমস্যার মোকাবেলা করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন সে তুলনায় অনেকটাই ব্যতিক্রম। এ বিষয়টি মোকাবেলায় মনোবল, কল্পনাশক্তি, আশা এবং নেতৃত্ব প্রয়োজন।
“পশ্চিমা নেতারা যদি কর্ণপাত করেন, বিষয়টি অনুধাবন করে তাদের কাছে বিজ্ঞান যা দাবি করছে সে অনুযায়ী যদি তারা সিদ্ধান্ত নিতে চান, তাহলে কপ ২৬ কে সফল করে তোলার জন্য এখনও সময় আছে এবং এটা খুবই জরুরি।”
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার যানবাহনের টোল মওকুফ বঙ্গবন্ধু টানেলে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- ভোলাহাটে মাল্টিপ্লাগে হাত লেগে নারীর মৃত্যু
- নাচোলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
- নাচোলে প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- ভোলাহাটে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- ভোলাহাটে জয়ীতাদের জীবন জয়
- ভোলাহাটে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনা সভা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ , বাতিল ১
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- শিবগঞ্জে সড়কে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ঈদ আনন্দ, জরিমানা
- গোমস্তাপুরে তরুণীকে মারধরের ঘটনায় আটক ৩
- হাওরে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা
- দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
- ঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুভ নববর্ষ উদযাপন
- ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের দিনে সড়কে দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলন্ত যানবাহন এ-পাঠাগার উদ্বোধন
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলায় ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- চালের বস্তায় লিখতে হবে মূল্য-জাত
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- দুদিন বন্ধের পর আজ থেকে মেট্রোরেল চালু
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ