চালু হচ্ছে ইউকে জিএসপি, প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২১
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন (ব্রেক্সিট কার্যকর) হয়েছে গত ১ জানুয়ারি। ইইউতে যুক্ত থাকার সময় দেশটির বাজারে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানিতে এভরিথিং বাট আর্মস (ইভিএ) সুবিধা পেত বাংলাদেশ। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এই বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেগুলো বহাল থাকবে, না নতুন কোনো উপায়ে যুক্তরাজ্য কোনো জিএসপি স্কিম চালু করবে, তা নিয়ে বাংলাদেশের ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা।
অবশেষে এর অবসান হয়েছে। গত জুলাই মাসে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও চিঠি দিয়ে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারাও ইইউর মতো জিএসপি স্কিম চালু করতে যাচ্ছে। শর্ত পূরণের চাহিদাপত্র দিয়ে সক্ষমতা জানাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে এ চিঠি। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক এ সুবিধা কার্যকর করবে যুক্তরাজ্য।
তবে যুক্তরাজ্যের এই জিএসপি স্কিমের কাঠামো হবে ইইউ থেকে কিছুটা ভিন্ন। তারা ব্রেক্সিট-পরবর্তী নিজস্ব জিএসপি স্কিম প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তিন ক্যাটাগরিতে জিএসপি স্কিম চালু করবে যুক্তরাজ্য। এগুলো হলো লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ফ্রেমওয়ার্ক, জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক ও ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্ক।
লিস্ট ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ফ্রেমওয়ার্ক ক্যাটাগরির আওতায় থাকা দেশগুলোর জন্য ইভিএর মতো অস্ত্র বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক ক্যাটাগরির আওতায় থাকবে নিম্ন আয়ের এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলো, যারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ২৭ শর্ত পূরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ক্যাটাগরিকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপির সঙ্গে তুলনা করা হবে।
জিএসপি প্লাসের সুবিধা দিয়ে চালু করা হবে ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্ক স্কিম। এ ক্যাটাগরির আওতায় যেসব দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে, তারা তাদের প্রোডাক্ট লাইনের তিন ভাগের দুই ভাগ পাবে শুল্কমুক্ত সুবিধায়।
অবশ্য এই সুবিধা পেতে থাকছে বাধ্যবাধকতা। কারণ, ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় কোনো পণ্য নির্দিষ্ট হারের অতিরিক্ত রপ্তানি করলে শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে ‘প্রোডাক্ট গ্রেজুয়েশন’-এর বিধান রাখতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
যদি কোনো দেশ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করে, অ্যান্টি টেররিজম ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশন লঙ্ঘন করে এবং ইউএন সিঙ্গেল কনভেনশন অন নেরোটিক ড্রাগস ভায়লেশন ও ইলিসিট ট্রেড প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই দেশ যুক্তরাজ্যের এ সুবিধা আর পাবে না। পুনরায় এ পেতে হলে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে ইউকে জিএসপির সুযোগ পেতে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পর্যায়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ ইনহেন্সড ফ্রেমওয়ার্ক ক্যাটাগরিতেই পড়বে।
অবশ্য এই ক্যাটাগরিতে পড়লেও ইউকের যেসব শর্ত আছে বাংলাদেশের জন্য সেসব সঠিকভাবে মেনে চলা খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরের তিন বছর জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার বিষয়ে মৌখিকভাবে ঢাকাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে লন্ডন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারও এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এখন সেটাই একমাত্র আশা ও দর-কষাকষির সুযোগ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের পাঠানো এ চিঠির ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অবস্থানপত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। অবশ্য সভা থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। আরেকটি সভা করে তৈরি করা হবে বাংলাদেশের অবস্থানপত্র, যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চিঠি দিয়ে জানানো হবে যুক্তরাজ্যকে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অবস্থানপত্র পাঠাবে। সেখানে কিছু বিষয় শিথিল করতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানানো হবে।’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। আমাদের উচিত হবে ইউকে জিএসপি ফ্রেমওয়ার্কের সুযোগ নেয়া। কিন্তু এ সুযোগ পেতে হলে তাদের যে রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন আছে, তা অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। সেটি মানতে হলে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না।’
বাংলাদেশের এই মুহূর্তে করণীয় কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য যদি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রুলস-রেগুলেশনের বাইরে অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেয়, তাহলে দর-কষাকষির সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশের উচিত দর-কষাকষি করে তা কিছুটা শিথিলের চেষ্টা করা।
‘কিন্তু মনে রাখা দরকার, শুধু ইউকে জিএসপি নয়, ভবিষ্যতে ইইউ জিএসপিও রিফর্ম হবে। সেখানেও জিএসপি প্লাসের ক্লাবে ঢুকতে হবে বাংলাদেশকে। অর্থাৎ যেখানেই যাক না কেন, বাণিজ্য করতে হলে তাদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সক্ষমতা বাড়াতেই হবে।’
ইউকে জিএসপি স্কিমের পাবলিক ডকুমেন্ট প্রোডাক্ট বা গুডস গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকার প্রতি তিন বছর পর গ্র্যাজুয়েশন পণ্যের তালিকা পর্যালোচনা করবে।
এ ক্ষেত্রে আমদানির অনুপাত ৪৭.২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে টেক্সটাইল, পোশাক এবং পোশাকসামগ্রীর জন্য গ্র্যাজুয়েশন প্রযোজ্য। অন্যান্য সব পণ্যের ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েশনের সাধারণ সীমা ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত প্রযোজ্য। জীবিত উদ্ভিদ এবং কৃষিকাজের পণ্য, উদ্ভিজ্জ পণ্য, প্রাণী বা উদ্ভিজ্জ তেল, চর্বি ও মোম এবং খনিজদ্রব্যে গ্র্যাজুয়েশন প্রযোজ্য হবে যখন আমদানি অনুপাত ১৭.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
পণ্য গ্র্যাজুয়েশন মূল্যায়ন করার পরে নির্দিষ্ট আমদানিতে শুল্কের অগ্রাধিকার হার স্থগিত করা হবে। এ আমদানি পণ্যগুলো অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বলে মনে করা হবে, যা যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আর প্রযোজ্য হবে না।
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- কাতারের আমির আসছেন সোমবার
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস
- পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার যানবাহনের টোল মওকুফ বঙ্গবন্ধু টানেলে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- ভোলাহাটে মাল্টিপ্লাগে হাত লেগে নারীর মৃত্যু
- নাচোলে কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
- নাচোলে প্রাণিসম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী উদ্বোধন
- ভোলাহাটে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- ভোলাহাটে জয়ীতাদের জীবন জয়
- ভোলাহাটে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
- ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলোচনা সভা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ , বাতিল ১
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- শিবগঞ্জে সড়কে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ঈদ আনন্দ, জরিমানা
- গোমস্তাপুরে তরুণীকে মারধরের ঘটনায় আটক ৩
- হাওরে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা
- দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
- ঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুভ নববর্ষ উদযাপন
- ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের দিনে সড়কে দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলন্ত যানবাহন এ-পাঠাগার উদ্বোধন
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলায় ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- চালের বস্তায় লিখতে হবে মূল্য-জাত
- কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না
- আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
- দুদিন বন্ধের পর আজ থেকে মেট্রোরেল চালু
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার
- কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ