বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২০
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক নানা প্রচারণা সরকারীভাবে চালানো হলেও কোন সতর্কতা বা নিয়ম মানছেন না সাধারণ মানুষ। শহরের সবজি বাজার স্থান পরিবর্তন করে আ.আ.ম মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামে নিয়ে গেলেও সকল নিয়ম উপক্ষো করে, কোন নিরাপদ দূরত্ব না রেখেই যে যার মতই কেনাকাটা করছেন।
শহরের বটতলা হাটে মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম। এখানে সরজমিনে দেখলে মনেই হবে না দেশে কোন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। সাধারন সময়ের মতই চায়ের স্টলসহ সকল বাজারে মানুষ চলাফেরা করছেন। এদিকে দোকানের সামনে, বাজারে, ব্যাংকগুলোতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার সতর্কতা মানছেনা সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা করোনা ভাইরাস নিয়ে যেন কোন ভাবনা নেই এসব মানুষদের।
বিশেষ করে শহরের বাঁতেন খার মোড়স্থ ইসলামী ব্যাংক ও পার্শ্ববর্তী পূবালী ব্যাংকের বুথে ও শহরের কাঠাল বাগিচাস্থ সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখান বালাই নেই। একে অপরের গায়ে গা ঘেঁষিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন টাকা উঠানোর জন্য। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন বাজারে।
এছাড়া মফস্বল এলাকা বা চরাঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে নেই কোন নিয়ম। স্বাভাবিক সময়ের মতই চলছে ওইসব এলাকার মানুষ। অন্যদিকে বিভিন্ন দোকানের সামনে সামাজিক নিরাপত্তা মেনে কেনাকাটা করার জন্য গোল বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করা হলেও অনেকেই মানছে না এ নিয়ম। এছাড়া ব্যাংকগুলোর সামনে এখন পর্যন্ত নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য বৃত্ত বা অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ব্যাংক গুলোর সামনে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে নারী-পুরুষের।
এসব নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহীনি, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নানা উদ্যোগ ও দিনরাত প্রচারনা চালাচ্ছেন, এমনটি শাস্তি ও জরিমানা করা হচ্ছে। তারপরও সচেতন হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।স্থানীয় পর্যায়ে চেয়ারম্যান, গ্রাম পুলিশরা নানাভাবে চেষ্টা চালালেও এসব মানুষরা কোন সতর্কতায় মানছেন না। এসব নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, এর চরম মূল্য দিতে হবে জেলার মানুষকে।
করোনা সতর্কতা না মানায় জেলার মানুষের ভয়ংকর ক্ষতির বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে মোট ৫২টি জেলা ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের যে ১২টি জেলা করোনা রোগী মুক্ত আছে, তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ একটি। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যরা, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসন জেলার মানুষকে করোনা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক সচেতনতা ও সামাজিক দূরত্বসহ সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও অনেকেই বাজার, ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ম মানছেন না। তিনি সকলকে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান নিজে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে করোনা সতর্কতা মেনে চলার।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক জানান, জেলার মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানাভাবে সচেতন করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কেনা-কাটা করা, বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়া, সরকারী নির্দেশনা মেনে মসজিদে নামাজ পড়াসহ নানা প্রচারনা চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণকে সচেতন করতে সর্বদা মাঠে কাজ করছে। তারপরও কিছু কিছু এলাকায় মানুষ সতর্কতা মানছে না। এসব বিষয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স/র
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়