শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১
বাড়িগুলোর মধ্যে আটটি ‘চরম ক্ষতিগ্রস্ত’ বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জের ইউএনও সাকিব আল রাব্বি।
প্রশাসনের লোকজন ইতোমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই বাড়িগুলো দেবে যেতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ২৫টি বাড়ি দেবে যায় এবং বিভিন্ন ঘরে ফাটল দেখা দেয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের জহরপুর গ্রামে দেখতে যান।
দেখা গেছে, অনেক বাড়ি ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিছু বাড়ি এখনও দাঁড়িয়ে থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের অনেকে এনজিওতে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছিলেন। বাড়িগুলো দেবে যাওয়ায় এখন তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
সুমি বেগম নামে একজন গৃহিণী বলেন, তাদের বাড়িতে তার ভাসুর-দেবর মিলে পাঁচটি পরিবার বাস করে। তাদের থাকার জন্য ছিল পাঁচটা পাকা ঘরসহ তিনটা রান্না ঘর, একটা বাথরুম ও একটা গরুর ঘর। সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
“আমরা এখন কোনো রকম টিনের চালা তুলে একসঙ্গে বাস করছি। এখানকার সবার দিন কাটছে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে।”
ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ কেউ আত্বীয়-স্বজনের বাড়ি চলে গেছে বলে তিনি জানান।
তবে কী কারণে এমন হয়েছে তা স্থানীয়ভাবে কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বাড়ির পাশের খালটি গভীর। পানি নেই। তাছাড়া খালের পাড় একেবারে খাড়া। তাই প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গভীর খালের কারণে বাড়িগুলো দেবে গেছে। ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে। তারা দেখে সঠিক কারণ বলতে পারবেন।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকারি সহযোগিতা চেয়েছে।
এ সম্পর্কে ইউএনও বলেন, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আটটি পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকায় খাসজমি খোঁজ করা হচ্ছে। জমি পেলে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়