শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি অশ্বত্থ গাছেই বাসা বেঁধেছে অর্ধশতাধিক মৌচাক। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে কানসাট-ভোলাহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের ভোলাহাট উপজেলার সোনাজল এলাকার ফলিমারি বিলের ধারে। একসঙ্গে এত মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই এই গাছটির কাছে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জানা যায়, ফলিমারির বিশাল বিলে এখন সরিষার চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা। ওই সরিষাখেত থেকে মৌমাছিরা মধু আহরণ করে নিয়ে আসে। ফলে মৌমাছির গুনগুন ধ্বনিতে গাছতলা ও আশপাশ মুখরিত হয় সব সময়। সাধারণ মানুষেরা আতঙ্কে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে না পারলেও যাঁরা প্রকৃত মৌয়ালি শুধু তাঁরাই কৌশলে মধু সংগ্রহ করেন।
একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি শাহনেওয়াজ বলেন, ‘প্রতিদিন চাকরির সুবাদে ভোলাহাট বড়গাছী এলাকায় যাতায়াত করতে হয়। গাছটির নিচে গেলেই মৌমাছির গুনগুনানিতে দৃষ্টি আটকে যায়। শীতকালে পাঁচ-ছয় মাসের জন্য এমন চিত্র দেখা যায়।’
কলেজশিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাঠের মধ্যে এক গাছে অর্ধশত মৌচাক দেখে মন জুড়িয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে।’
স্থানীয় কৃষক আসাদুল ইসলাম জানান, রাস্তার পাশে এত মৌমাছি বাসা বাঁধলেও কোনো দিন কারও ক্ষতি করেনি। তবে সাধারণ মানুষ চাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে পারে না। যাঁরা প্রকৃত মৌয়ালি শুধু তাঁরাই কৌশলে মধু সংগ্রহ করেন।
রংপুর থেকে আসা মৌয়ালি এহসান আলী বলেন, আগুনের ধোঁয়া দিয়ে বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করতে হয়। এখানকার মৌমাছির মধুর সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। মৌমাছিগুলো আশ্বিন মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত থেকে চলে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেভ দ্য নেচার’র প্রধান সমন্বয়ক রবিউল হাসান ডলার বলেন, ‘একটি মাত্র গাছে এত মৌচাক সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছিদের ভূমিকা অপরিসীম।’
ভোলাহাট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আলী বলেন, ‘রাস্তার ধারের এই গাছটিতে ৫০-৬০টি মৌচাক রয়েছে। যতটুকু জেনেছি, ১৫ বছর ধরে এই গাছে মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। ফসলের পরাগায়নে মৌমাছির ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলায় এবার মাঠে ৯০০ মৌ-বক্স বসিয়েছে মৌয়ালরা।’
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়