শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
সোমবার খালেদার আইনজীবী আবারো বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানালে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে এ আদেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার একই বেঞ্চে অনাস্থা জানালে আদালত সোমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এর আগে দ্বিধাবিভক্ত আদেশের পর রিট নিষ্পত্তির বিষয়টি শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এর আগে, সংক্ষিপ্ত আদেশের অনুলিপি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠায় হাইকোর্ট। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে আসে। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়টি সমাধানের জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করার কথা থকলেও আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি না লেখায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ফেরত পাঠান প্রধান বিচারপতি।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না সে প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
এর আগে শুনানি শেষে গত সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কায়সার কামাল। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। তার আগে গত ০৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার করা আপিল নামঞ্জুর করে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা পরবর্তীতে হাইকোর্টে গড়ায়। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। পরে তাদের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়