শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের নারী উদ্দ্যোক্তা সাহেদা খান। একসময়ে গৃহস্থলীর কাজে ব্যস্ত থাকলেও বর্তমানে তিনি কৃষি কাজে জড়িত হয়ে পরেছেন। চাষাবাদ করছেন কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজ। মাত্র দুই বিঘা জমিতে এ পেঁয়াজ বীজের আবাদ শুরু করলেও বর্তমানে তিনি ১শত ৫০বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করছেন।
তার এ পেঁয়াজ বীজ বাজারে খাঁন বীজ নামে অত্যন্ত সুপরিচিত। তার ক্ষেতের পেঁয়াজ বীজের মধ্যে লাল তীর, তাহের পুরী, সুপার কিং বীজ অন্যতম। বর্তমানে সাহেদা খান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক চুক্তিবদ্ধ একজন চাষী। তার উৎপাদিত এক মণ পেঁয়াজ বীজ ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
এসময় নারী উদ্দ্যোক্তা সাহেদা খান জানান, পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য তিনি বিগত ১০ বছর ধরে চেষ্টা করে আসছেন। কেননা এই পেঁয়াজ বীজ চাষে যেমন খরচ তেমন ঝুঁকিপূর্ন। দীর্ঘদিন চেষ্টার পরে তিনি আজ সফলতা পেয়েছেন। আর এবছরও তিনি ১শ ৫০ বিঘা জমিতে কালোসোনা খ্যাত এ পেঁয়াজ বীজ আবাদ করেছেন।আর ফলনও হয়েছে অনেক ভালো। প্রতি বছর তার এ পেঁয়াজ বীজ বিএডিসি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে এবছর তিনি প্রায় ১কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করতে পারবেন।
এসময় এই সফল নারী উদ্দ্যোক্তা সাহেদা খান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তার ব্যাংকার স্বামী বকতার খানের প্রতি।কেননা তার স্বামী এই পেঁয়াজ বীজ চাষাবাদের জন্য সকল ধরনের সহযোগীতা করছেন।আর বক্তার খানের সহযোগীর হাত বাড়ানোর ফলে আজ তিনি এই সফলতা অর্জন করেছেন।
ফরিদপুর জেলায় এবছর ১হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে ৯লক্ষ ৯৪হাজার মে.টন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদিত হবে।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়