বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২০
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে গত ২৪ মার্চ পুরো দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য সরকার। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ক্লাব ও পানশালাগুলো বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। ফলে চলমান লকডাউনে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রতিদিন তার ৭ হাজার পাউন্ড করে ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
লন্ডনের কিংস্টনভিত্তিক একাধিক সূত্র বলছে, ২০০৮ সালের পর যুক্তরাজ্যে পালিয়ে এসে শুরুতে ব্যাংকে বড় অংকের টাকা জমিয়ে সেই টাকার লাভ দিয়ে সংসার চালাতেন তারেক। বিভিন্ন সময়ে মনোনয়ন বাণিজ্য, পদ বাণিজ্য করে লন্ডনে বসেই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই টাকার বড় একটি অংশ তিনি কিংস্টনের ‘মিডনাইট গ্লোরি’ নামক একটি ক্লাবে বিনিয়োগ করেন। বেনামে ক্লাবটির ৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। ক্লাবটি মূলত মদ, জুয়া ও স্ট্রিপ ড্যান্সের জন্য অত্র অঞ্চলে পরিচিত। সেই ক্লাব থেকে তারেক প্রতিদিন তার বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ৭ হাজার পাউন্ড করে পেতেন। কিন্তু করোনার কারণে ক্লাবটি বন্ধ হওয়ায় বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। ক্লাবের লভ্যাংশ ছাড়াও তারেক নিজেও সপ্তাহে ৪দিন নিয়ম করে গিয়ে জুয়া খেলতেন। সেখান থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ বাগিয়ে নিতেন তারেক। কিন্তু করোনার কারণে তার মাথায় যেন বাজ পড়েছে। বাংলাদেশে আপাতত কোন নির্বাচন না হওয়ায় মনোনয়ন বাণিজ্যও করতে পারছেন না তিনি। ফলে করোনাকালে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাত ছাড়া হওয়ায় ক্ষুব্ধ তারেক স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
তারেক রহমানের আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিক বলেন, লন্ডনে কিছু সেক্টরে তারেক স্যারের বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে আপাতত সব বন্ধ থাকায় কিছুটা আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে তার। তবে তিনি যে ক্লাবের শেয়ার কিনেছেন সেটি আমার জানা ছিল না। ওই ক্লাবে কয়েকবার তার সাথে দেখা হয়েছে আমার। আমি নিয়মিত সেখানে যাই না। নগদ অর্থ প্রতিদিন না পাওয়ায় হয়তো তিনি রেগে আছেন। তাই তো বলি, তিনি কেন আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন না! এখন বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার হল।
chapainawabgonj.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়