ব্যাপক ভরাডুবির পর নিরব বিএনপি কার্যালয়

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন উপলক্ষে শুরু হয়েছিল বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের যাতায়াত। তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নেতাদের আসা–যাওয়া লেগেই থাকত। গত এক দুই মাসে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই সংবাদ সম্মেলন ঘিরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ও থাকত সব সময়। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর সে চিত্র বদলে গেছে। এখন অনেকটাই নিরব বিএনপির নয়া পল্টনের এই কেন্দ্রীয় কার্যালয়। নির্বাচনের এমন ফলাফলের পর কোন আমেজ নেই রাজনৈতিক মাঠে থাকা বিএনপির এ অফিসটিতে। এ নিরব অফিসের সামনে এখন দেখা যায় পুলিশের উপস্থিতি। কার্যালয়ের সামনে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচন পরবর্তী যেকোনো সহিংসতা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মাত্র ছয়টি আসনে জয়ী হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিএনপি। নির্বাচনের এই বড় ধরনের বিপর্যয় দেখে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়মুখী হননি। ঢাকায় কোনো আসন পায়নি দলটি। নেতা কর্মীদের মধ্যে অনেকেই নিজ দল বিএনপি থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। গতকাল কেবল রুহুল কবির রিজভী ও কার্যালয়ের কয়েকজন স্টাফকে কার্যালয়ে অবস্থান করতে দেখা গিয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী, রমেশ দত্তসহ আরও কয়েকজন দলীয় কার্যালয়ে আসেন। তাঁরা কার্যালয়ে অবস্থানরত রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে আলাপ–আলোচনা করেন। তাঁরাও দুপুরের পর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বিকেল পর্যন্ত আর কোনো নেতাকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। জনগণের রায় থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এভাবেই কাটছে বিএনপির দিন।

অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের নিরঙ্কুশ ভোটে জয় লাভ করা আওয়ামী লীগ আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে এ বিজয় উদযাপন করার কথা বলা হয়েছে’। নতুন বছরে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে সুশাসনকে ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার কথা জানানো হয়েছে নেতা কর্মীদেরকে।