ঘুরে দাঁড়ানোর পথে পোশাক শিল্প
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২০
করোনাভাইরাসের ধকল কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের পোশাক খাত। বাতিল ও স্থগিত হওয়ার অর্ডার ধীরে ধীরে ফেরত আসতে শুরু করেছে। যদিও তা সক্ষমতার তুলনায় অনেকাংশেই কম।
অবশ্য ক্রয়াদেশ ফিরলেও রফতানি পণ্যের অর্থ পরিশোধে নানা শর্তজুড়ে দিচ্ছে কোনো কোনো ক্রেতা। আর প্রায় সব বড় বড় ক্রেতাই পোশাকের দাম আগের চেয়ে কম দিচ্ছেন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অনেক গার্মেন্ট মালিক খরচ কমাতে শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে।
পোশাক রফতানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুধু এপ্রিল মাসেই গত অর্থবছরের তুলনায় রফতানি কমেছে ২২০ কোটি ডলার।
গত এপ্রিলে যেখানে রফতানি হয়েছিল ২৫৪ কোটি ডলারের পণ্য, সেখানে গত এপ্রিলে রফতানি হয় মাত্র ৩৭ কোটি ডলারের পণ্য। অবশ্য মার্চ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন তুলে দেয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
ফলে মে ও জুন মাসে পোশাক রফতানি বেড়েছে। মে মাসে রফতানি হয় ১২৩ কোটি ডলারের পণ্য, আর জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১২ কোটি ডলারে।
বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, করোনাভাইরাসের কারণে ৩ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের আদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।
এই ধাক্কা সামলাতে না পেরে শুধু বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। প্রায় ৮০ শতাংশ অর্ডার ফেরত এসেছে। তবে ক্রেতারা অর্থ পরিশোধ পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে বিল পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি কারখানার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী অর্ডার ও পোশাকের মূল্য কত কমেছে তা জানতে জরিপ চালায় বিজিএমইএ।
সদস্যভুক্ত ১০০ কারখানার তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত জরিপের ফলাফল গত শুক্রবার প্রকাশ করে সংগঠনটি। সেখানে দাবি করা হয়, করোনাভাইরাসের সুযোগে বিদেশি ক্রেতারা পোশাকের দাম গড়ে ১৪ শতাংশ কমিয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ছেলেদের অন্তর্বাসের ও ছোটদের পোশাকের। বিজিএমইএ’র জরিপের তথ্য মতে, গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি আইটেমের পোশাকের দাম ব্যাপক হারে কমিয়ে দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতারা। প্রতি পিস শার্টের মূল্য কমেছে ১৬ শতাংশ।
আগে যে শার্টের জন্য ৪ ডলার ৮৭ সেন্ট মূল্য দিত ক্রেতারা, এখন সেই পণ্যের মূল্য দিচ্ছে ৪ ডলার ১০ সেন্ট। টি-শার্ট ও পোলো শার্টের দাম কমেছে ২১ শতাংশ। ২ ডলার ৮৬ সেন্টের পণ্যে ২ ডলার ২৫ সেন্ট দিচ্ছে। একইভাবে সব আইটেমের দাম কমানো হয়েছে।
ছোটদের পোশাকের দাম কমেছে ৩৫ শতাংশ, ডেনিম ট্রাউজারের ১০ শতাংশ, জ্যাকেট ১৪ শতাংশ, পুরুষের অন্তর্বাসে ৪৩ শতাংশ, সোয়েটারের ১৩ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে বিজিএমইএ দাবি করছে, জরিপে অংশ নেয়া ১০০ কারখানা চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ কোটি ৫৭ লাখ পিস পোশাক তৈরির সক্ষমতা আছে। এখন পর্যন্ত তারা ১২ কোটি ৭৫ লাখ পিস পোশাকের ক্রয়াদেশ পেয়েছে।
তাতে ডিসেম্বর পর্যন্ত কারখানাগুলোর কাছে সক্ষমতার মাত্র ৩৫ শতাংশ অর্ডার রয়েছে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অর্ডার থাকলেও নভেম্বর ও ডিসেম্বর অর্ডার একেবারে নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কিছু কিছু অর্ডার আসতে শুরু করেছে, এটা ঠিক। তবে গত বছর শীতের তুলনায় এবার অর্ডার অনেক কম। আর ক্রেতারা আগের মতো ১২০ দিনের লিড টাইমও দেয় না।
তাই আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বোঝা যাবে অর্ডারের প্রকৃত অবস্থা। কারণ আগস্টের অর্ডার অক্টোবর-নভেম্বরে শিপমেন্ট করা হবে। তিনি আরও বলেন, অনেক ক্রেতা দাম অনেক কমিয়ে দিয়েছে। অচলাবস্থা পুরোপুরি না হলেও কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই করা যাবে না।
শ্রমিক ছাঁটাই প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গার্মেন্ট মালিক শ্রমিকদের বেতন দিতে না পারলে কী করবে? শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ বা শ্রমিক ছাঁটাই করছে কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয়। কারণ কোনো মালিক তো লোকসান দিয়ে কারখানা চালাবে না।
বিজিএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, রফতানি অর্ডার ফিরছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। যেসব অর্ডার ক্রেতারা বাতিল করেছিল, এখন সেগুলোর শিপমেন্ট নিচ্ছে। সেপ্টেম্বরের আগে প্রকৃত অবস্থা বলা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি ক্রেতারা বলছে, নতুন অর্ডার নিতে চাইলে দাম কমাতে হবে। এটা দুঃখজনক। তবে তারা বলছে, পোশাকের বিক্রি বাড়াতে তাদের নানা ছাড় দিতে হচ্ছে। এ কারণে তারা কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন করে সমঝোতায় যাচ্ছে।
বিকেএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনার শুরুতে বাতিল হওয়া অর্ডার ফেরত আসায় গত এক-দুই মাস কারখানায় কাজ হয়েছে। আগামী ২ মাসের অর্ডার নেই, খুবই সামান্য। তাছাড়া ক্রেতারা নিট আইটেমের দাম ১৫ শতাংশ কমিয়েছে।
এ কারণে এখন অর্ডার নেয়া যাচ্ছে না। অক্টোবর নাগাদ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। শ্রমিক ছাঁটাই প্রসঙ্গে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এখন চলমান কারখানায় কোনো শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে না। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে ভিন্ন কথা। শ্রমিক নেতারা কিসের ভিত্তিতে এসব কথা বলছে তা জানি না।
এদিকে করোনাকালে শ্রমিকদের কাজ হারানো নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)।
সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এপ্রিল-মে মাসে দেশের তৈরি পোশাক খাতের বড় সংগঠন বিজিএমইএ সদস্য এমন ৩৪৮টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করতেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৬৮৪ জন শ্রমিক।
এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, এখন গার্মেন্ট মালিকরা অমানবিক আচরণ করছেন। ঠুকনো অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। রোজার ঈদ থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। যারা একটু অধিকার আদায়ে সোচ্চার তাদের বের করে দেয়া হচ্ছে।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, মার্চ-এপ্রিলে যেসব অর্ডার বাতিল হয়েছে, সেগুলো আবার ফিরে এসেছে।
অথচ মহামারী ইস্যুকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের ঠকাতে লাগাতার ছাঁটাই করে যাচ্ছে গার্মেন্ট মালিকরা। একজন শ্রমিক ১৫-২০ বছর চাকরি করার কারণে আইন অনুযায়ী যে চাকরি সুবিধা পাওয়ার কথা এখন সেগুলো তাদের দেয়া হচ্ছে না। এই শ্রমিকই অন্য কারখানায় আরও কম মজুরিতে চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
- দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটান রাজা
- কূপ খননে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- কুড়িগ্রামে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রান্সফরমার চুরি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র–গুলিসহ যুবক গ্রেপ্তার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
- গোমস্তাপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু
- যেভাবে ৫০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব বলে জানালো ব্যবসায়ী সমিতি
- ‘শূন্যের বৃত্ত’ থেকে বের হলো বে-টার্মিনাল প্রকল্প
- বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত
- স্বাধীনতা দিবসে ভারত রাশিয়া ও চীনের শুভেচ্ছা
- ঈদযাত্রায় এবার স্বস্তির আশা
- চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- টিকিট কালোবাজারি বন্ধে জিরো টলারেন্স: রেলমন্ত্রী
- প্রশিক্ষণে আসবেন ভুটানের ডাক্তার-নার্স
- অসাম্প্রদায়িক মানবিক ও স্মার্ট দেশ গড়ার প্রত্যয়
- যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারে মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
- স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ব
- শিবগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় বোনের মৃত্যু
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক বিক্রয় ও সেবন করার অপরাধে ৩ জন আটক
- নিজেই নাটক নির্মান করছেন ভোলাহাটের ছেলে তৌহিদ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরি করে যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন তারা
- জনপ্রতি ফিতরা নির্ধারণ, সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
- ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
- ভোলাহাটে উচ্চ মূল্যের চিয়া সীড চাষ
- এক দিন ছুটি নিলেই ঈদে কাটাতে পারবেন ১০ দিন
- বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল শনাক্ত করতে পারবে ইচ্ছাকৃত খেলাপি
- ৮ বিভাগেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- রোজার কাফফারা কী ও কিভাবে
- টিসিবি কার্ডে জালিয়াতি ঠেকাতে আসছে স্মার্ট কার্ড
- যে ৯ সময়ে নিশ্চিত দোয়া কবুল হয়
- বাংলাদেশ সরাসরি চীনের সঙ্গে লেনদেনে যাচ্ছে
- স্কুল-কলেজের সভাপতিকে এইচএসসি পাস হতে হবে
- নিয়োগ হতে পারে লক্ষাধিক শিক্ষক, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই
- নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টায় মালিকপক্ষ
- অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন নয়
- ৫০-এর কম শিক্ষার্থী হলে পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত
- ৩৬ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তিন জাহাজ
- সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় দেশে চ্যালেঞ্জ কমছে
- আমদানি কমছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স, ফিরছে স্বস্তি
- ভাঙছে ডলার সিন্ডিকেট, প্রতিদিন কমছে দাম
- কাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
- রংপুরে পাট থেকে তৈরি হচ্ছে পানীয়সহ খাদ্যপণ্য
- ১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি
- রেলের কাছে সেতু হস্তান্তর কাল
- নিস্তেজ হচ্ছে ডলার, দর কমেছে প্রায় ৮ টাকা
- বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে যাচ্ছে ভারত
- পদ্মা সেতু ॥ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- স্বয়ংক্রিয় টোলে ১০ শতাংশ ছাড়, বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা
- জামানতবিহীন গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার নির্দেশ